কলকাতা : আয়রনকে শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ঢাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি শক্তি দেয় এবং শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। আয়রন হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা লোহিত রক্তকণিকায় পাওয়া যায়। হিমোগ্লোবিনের কাজ হল ফুসফুস থেকে অন্য অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহন করা। কাজেই, আয়রনের ঘাটতি (Iron Deficiency) হলে পুরো ব্যবস্থাই নড়ে যায়। যেহেতু আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাই এর ঘাটতি অনেক রোগের কারণ হয়। এটি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে আয়রনের অভাবে ক্লান্তি (Fatigue), দুর্বলতা, মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি আয়রনের অভাবে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে।


এই পরিস্থিতিতে এই ৫টি লক্ষণ কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়...



  • শরীরে কম আয়রনের কারণে ক্লান্তি সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ। শরীরের বিভিন্ন অংশে অপর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছানোর কারণে ক্লান্তি অনুভূত হয়। এতে দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে।

  • শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব হয়, যে কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ব্যায়াম, হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় এই সমস্যা বাড়ে।

  • আয়রন শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্য নয় মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। এর অভাবে মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় আয়রনের ঘাটতির কারণে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে, কারণ এমন পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না।

  • সেরোটোনিন এবং ডোপামিন উভয়ই শরীর এবং মস্তিষ্ককে শিথিল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। আয়রনের মাত্রা কম হলে শরীরে এই দু'টি হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ঘুমের ওপর এবং ঘুম আসে না শান্তিতে। এর ফলে অনেক সমস্যা হতে পারে।

  • হাত পা প্রায়ই ঠান্ডা থাকলে সতর্ক থাকুন, কারণ এটি আয়রনের ঘাটতির লক্ষণও হতে পারে। আয়রনের ঘাটতির কারণে যখন শরীরে অক্সিজেন ঠিকমতো পৌঁছায় না, তখন এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়।


আরও পড়ুন ; গ্রীষ্মের দাবদাহে জুড়োবে প্রাণ, চুমুক দিন কাঁচা আমের লস্যিতে


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।