Onion Juice Side Effects: কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার বেশ কিছু গুণ রয়েছে। তবে প্রবাদে আছে কোনও কিছুই অতিরিক্ত করা ভাল নয়। তাই বেশি কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে ফেলে বিপদ বাড়বে। তবে আরও একভাবে পেঁয়াজ খেলে আপনার শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে বাধ্য। আর সেটি হল পেঁয়াজের রস। কাঁচা পেঁয়াজের রস না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। বিশেষত যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে, খুবই গ্যাস-অম্বল হয়, তাঁরা শতহস্ত দূরে থাকুন পেঁয়াজের রস থেকে।
কাঁচা পেঁয়াজের রস খেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে, দেখে নিন
- পেঁয়াজের রসে ন্যাচারাল সালফার, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। বলা হয় পেঁয়াজের রস খেলে নাকি পেটে ব্যথার সমস্যা কমে যায়। কারণ যে সমস্ত উপকরণ এখানে থাকে তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাব রয়েছে। আর তার জেরেই কমতে পারে পেটে ব্যথা। তবে সকলের শরীরে সব জিনিস সমানভাবে কাজ করে না। তাই পেটে অস্বস্তি হলে, হাল্কা চিনচিনে ব্যথা হলে, তা কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজে নিজে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে পেঁয়াজের রস খেতে যাবেন না।
- যাঁদের পেটের সমস্যায় মাঝে মাঝেই ভুগতে হয় তাঁরা পেঁয়াজের রস এড়িয়ে চলুন। ভুলেও পেঁয়াজের রস খাবেন না। তাহলে মারাত্মক ভাবে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং হিটবার্নের সমস্যায় ভুগবেন। অর্থাৎ অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি হয়ে যেতে পারে আপনার।
- পেঁয়াজের রস খেলে পেট ফেঁপে যাওয়ার সমস্যা, কিছু খেলেই পেট আইঢাই করলে তা কমার লক্ষণ, গ্যাসের চাপ কমে যাওয়া- এগুলি হবে এমনটার কোনও বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ নেই। অতএব নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের উপর ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করার আগে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। নাহলে খুব সামান্য ব্যাপার থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে আপনার।
কাঁচা পেঁয়াজ বলা ভাল ছোট ছোট আকারের ছাঁচি পেঁয়াজের রস আপনি ব্যবহার করতে পারেন মাথার তালুতে। অল্প কয়েকদিন ব্যবহার করলেই দূর হবে খুশকি। এছাড়াও চুলের লম্বা অংশে ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজের রস। চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে এবং নতুন চুল গজাতে ও চুলের সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস। চুল মোলায়েম রাখতে, রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করতেও দারুণ ভাবে কাজ করে এই পেঁয়াজের রস।
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে কোন খাবারের পরিবর্তে কোন খাবার খাওয়া উচিত? মেনুর সামান্য বদলেই ঝরবে মেদ
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।