কলকাতা: শরীরে অত্যধিক মাত্রায় মেদ (Fat) জমা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং, অতিরিক্ত মেদ অন্যান্য অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। পুরুষ কিংবা নারী, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য নাজেহাল হতে হয়। শরীরে অন্যান্য অঙ্গের জমে থাকা মেদ কমে গেলেও অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই পেটের মেদ কমতে চায় না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে চললে অনায়াসেই কমানো সম্ভব পেটের মেদ (Weight Lose)।


বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে মেদ জমার কারণ অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এগুলির দিকে আগে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি অনেকের পারিবারিক কারণেও শরীরে মেদ জমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে তাঁদের আরও বেশি স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া দরকার।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন সূর্য নমস্কার করলে তার মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর সঙ্গে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তিও বৃদ্ধি পায় এর সঙ্গে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও দারুণ উপকারী সূর্য প্রণাম। নিয়মিত অভ্যাস করলে পেটের মেদ কমে।


আরও পড়ুন - Home Remedies for Cracked Heel: শীতকাল পড়তেই গোড়ালি ফাটছে? সারিয়ে ফেলুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে


২. আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মত, শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে খুবই উপকারী কপালভাতি প্রাণায়াম। এক মাধ্যমে পেটের মেদও কমে। 


৩. আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত হালকা গরম জল পান করলে মেদ দ্রুত কমে। এর পাশাপাশি বাড়ে মেটাবলিজম। মেদ শুধু পেটেই দমে না। শরীরে অন্যান্য অঙ্গেও মেদ জমে। তাই নিয়মিত এগুলি অভ্য়াস করা দরকার।


৪. অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই ওজন কমানোর জন্য শুধু শরীরচর্চা করলেই চলে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মিত ঘুমও খুবই প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের খুবই দরকার। এর মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য যেমন বজায় থাকে, তেমনই দ্রুত মেদ ঝরে ওজন কমে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।