Vegetable Juice: সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হল সঠিক খাওয়া-দাওয়া করা। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলেই আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। শরীরে কোনও উপকরণের ঘাটতি হবে না। তার ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা থেকে দূরে থাকবেন আপনি। আর একটা কথায় ভালভাবে বুঝে নেওয়া দরকার যে, সুস্থ থাকতে চাইলে শাকসবজি খেতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। চারটি সবজি রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেতে পারলে, অনেক উপকার পাবেন আপনি। তরকারি খেতে না চাইলে রয়েছে অন্য রাস্তাও। এইসব সবজির রস করে সেটা 'হেলদি ড্রিঙ্ক' হিসেবে খেতে পারেন আপনি। এই চার সবজি থেকে তৈরি রস পান করলে শরীরের অনেক সমস্যাই দূর হবে। অনেক রোগ থেক দূরে থাকতে পারবেন আপনি। সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের রসও খাওয়া যেতে পারে। ফল কিংবা সবজি, যেটারই রস খান না কেন, সেটা দূর করবে বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক ডিজিজ, যেমন- হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, এই জাতীয় জটিল রোগ। 

কোন কোন সবজির রস নিয়ম করে খেতে পারলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবে আপনার 

বিটের রস- শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বিটের রস খাওয়া সবসময়েই ভাল। আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, কপার- এইসব উপকরণ রয়েছে এই পানীয়ে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। বিটের রস খেলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। তার ফলে ভাল থাকে হৃদযন্ত্র। বিটের রস খেলে ভাল থাকে লিভার। ত্বকের জেল্লা বজায় থাকে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা আরও বাড়ে। ভরপুর এনার্জি দেয় এই পানীয়। কমায় বদহজমের সমস্যা। অ্যান্টি-ক্যান্সার উপকরণও থাকে বিটের রসের মধ্যে। 

গাজরের রস- গাজরের রস খেলে কমবে ওজন। এই পানীয় চোখের পক্ষে ভাল। দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে। আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে গাজরের রস। রোজই অল্প পরিমাণে গাজরের রস খেতে পারেন আপনি। 

টোম্যাটোর রস- কাঁচা টোম্যাটো খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল তেমনই টোম্যাটোর রস করেও খেতে পারেন আপনি। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন কে রয়েছে টোম্যাটোর মধ্যে। এছাড়াও টোম্যাটোর রসে আপনি পাবেন ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ফাইবার। রোজ অল্প টোম্যাটোর রস খেলে সারাদিন এনার্জি পাবেন আপনি, চাঙ্গা থাকবেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তাও দূর হবে। 

করলার রস- ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই পানীয় ওষুধের মতো কাজ করে। ভিটামিন, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে করলার মধ্যে। 

আরও পড়ুন- রোজ চিয়া সিড খাওয়া চুলের জন্য কেন উপকারী? এই বীজ কীভাবে খেয়াল রাখে চুলের, কোন কোন সমস্যা নিমেষে দূর করে 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।