কলকাতা : ভিটামিন ডি (Vitamin D) এমন এক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের হাড় ও পেশিকে শক্ত করতে কাজ করে। এই ভিটামিন শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। যার জেরে হাড় মজবুত থাকে। কিন্তু ভিটামিন ডি শুধু হাড়কেই মজবুত করে না, মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে তা স্বাভাবিকভাবেই চোখের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। ভিটামিন ডি-তে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে এবং এর ডোজ চোখের শুষ্কতা, ছানি পড়া ও রেটিনাল অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। তাই চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে শরীরে ভিটামিন ডি-র সঠিক মাত্রা থাকাটা খুবই জরুরি বলে মনে করা হয়।


শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে চোখের স্বাস্থ্যের (Eye Health) ওপর তার খারাপ প্রভাব পড়ে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি শুধুমাত্র গুরুতর Conjunctivitis-এর ঝুঁকি বাড়ায় না, চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরও প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বাভাবিক মাত্রা ৩০। যে ব্যক্তির ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ১০-এর নীচে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এই পরিস্থিতিতে কনজাংটিভাইটিসের ভাইরাস দ্রুত আক্রমণ করে। কয়েক বছর আগে এক গবেষণায় দেখা গেছে, কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষের ভিটামিন ডি-এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। এই ধরনের লোকেরা সহজেই চোখের ফ্লুতে আক্রান্ত হয় এবং তা চোখের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয়, ভিটামিন ডি কম খাওয়ার কারণে ৪০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের চোখের নীচে কালো দাগ এবং ফোলাভাব দেখা যায়। ভিটামিন ডি-র অভাবে চোখে অকালে ছানি পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। শুধু তাই নয়, এর ঘাটতির কারণে রেটিনাল ডিজেনারেশন হয়। যে কারণে চোখের দুর্বলতা বেড়ে যায় এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।


চোখ যদি বারবার শুকিয়ে যায় এবং জ্বালাপোড়া হতে থাকে তবে তা শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ। এর পাশাপাশি চোখের নীচে কালো দাগ এবং ফোলা চোখও ভিটামিন ডি-এর অভাব নির্দেশ করে। এর পাশাপাশি সারাক্ষণ চোখে ক্লান্তি ভাবও একটি উপসর্গ।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন ; হার্টের রোগের বড় কারণ কি জিন ?