কলকাতা: জন্মের সময় শিশুর ওজন স্বাভাবিক থাকা জরুরি। তা না হলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের কথায়, ওজন কম হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর শিশুর নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজও। অর্থাৎ হার্টের রোগ। তবে এই তত্ত্ব চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য। সবাই এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নন। সম্প্রতি এই তত্ত্বের বিপরীতে গিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ওজন নয়। আসলে দায়ী জিন। জিনের কারণেই হার্টের রোগের ঝুঁকি দেখা যায় শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হলে। কিন্তু ওজনের সঙ্গে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের সম্পর্ক কী ? আগে সেটি জেনে নেওয়া যাক।
জন্মের আগের ওজনের সঙ্গে হার্টের রোগের কী সম্পর্ক ?
একদল গবেষকদের কথায়, জন্মের আগে শিশুর ওজন কম হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর হার্টের নানা সমস্যা দেখা যায়। এর পিছনে একটি যুক্তি দিয়ে থাকেন গবেষকরা। মনে করা হয়, ওজন কম বলে শিশুর মেটাবলিজম দুর্বল থাকে। দুর্বল মেটাবলিজম প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় হার্টের সমস্যা ডেকে আনে। তবে এই তত্ত্বের সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। সম্প্রতি এক গবেষণা হয় ফিনল্যান্ডে। সেখানে এই তত্ত্বকে খারিজ করে দেওয়া হল। সামনে উঠে এল এক নতুন তত্ত্ব।
জিনই দায়ী হার্টের রোগের জন্য
ওজন নয়, জিনই দায়ী হার্টের রোগের জন্য। ফিনল্য়ান্ডের ওই গবেষণা ৩৬ হাজার মা ও শিশুদের নিয়ে করা হয়েছিল। তাতেই দেখা গিয়েছে কিছু বিশেষ জিনের ভূমিকা। দেখা গিয়েছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে কিছু জিন প্রবেশ করে। এই জিনগুলিই পরে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কী বলছেন গবেষক ?
কমিউনিকেশন বায়োলজি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব মলিকিউলার মেডিক্যাল রিসার্চ ফিনল্যান্ডের গবেষক জাকো লেইননেন বলেন, মায়ের শরীরের কিছু নির্দিষ্ট জিন এর পিছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই জিনগুলি গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের শরীরে প্রবেশ করে। ভ্রুণ কতটা পুষ্ট হবে, সেটিও এর উপর নির্ভর করে। পরে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের পিছনেও এর হাত রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জাকোর কথায়, শিশুর মর্বিডিটি অর্থাৎ মৃত্যুর কারণগুলি অনেকটাই এই জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে সরাসরি মায়ের জিন দায়ী থাকে না। বরং শিশুর দেহে তৈরি হওয়া কপি জিনগুলি সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Emotional Eating Remedies: ‘খিদে না পেলেও ঘন ঘন খাই, গিলি গোগ্রাসে’ কী করলে রেহাই ?