কলকাতা: বহু মানুষের মধ্যে গ্যাসের (Gas Problem) সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং আরও নানা কারণে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের সমস্যায় ভুগলে তা জটিল রোগের আকার নিতে পারে। তাই অল্প সমস্যা দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে বহুক্ষেত্রেই গ্যাসের সমস্য়া থেকে অন্য অসুখের ফল প্রাণঘাতী হতে পারে। গ্যাসের সমস্যা সমাধানের সহজ কিছু ঘরোয়া টোটকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন? রইল সহজ টোটকা-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত ফলে ফ্রুকটোসের পরিমাণ কম রয়েছে, সেই সমস্ত ফল খাওয়া প্রয়োজন। যদিও কোন ফলে ফ্রুকটোসের মাত্রা কম থাকে, তা সহজে জানা সম্ভব হয় না সাধারণ মানুষের পক্ষে। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গ্যাসের সমস্যা কম করতে আপেল, আঙুর, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি প্রভৃতি ফলে কম শর্করা থাকে। এগুলি গ্যাসের রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে, আম, কলা, চেরি, তরমুজের মতো ফলে বেশি পরিমাণে শর্করা থাকায়, এগুলি তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


২. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা থেকে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিরোধ করতে খাবারের তালিকায় শস্যদানাজাতীয় খাবার রাখা দরকার। 


আরও পড়ুন - Dehydration: কোন কোন খাবার খেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে জানা আছে?


৩. প্রচুর পরিমাণে টাটকা সব্জি ও ফল খাওয়া দরকার। পালং শাকে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ফাইরাব থাকে। এছাড়াও এতে থাকে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। যা পেটের সমস্যা দূর করে। 


৪. প্রোবায়োটিকজাতীয় খাবার তালিকায় রাখা দরকার। দই, চিজ, বাটারমিল্ক প্রভৃতি রাখা দরকার।


৫. শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পানের বিকল্প আর কিছু নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাসের সমস্য়া সমাধানে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। দিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল খেতে হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।