গোরক্ষপুর, উত্তরপ্রদেশ : মাত্র ১২ দিনে মারণ ভাইরাসের কবলমুক্ত হলেন ৮২ বছরের এক বৃদ্ধা। চিকিৎসকদের পরামর্শ ও প্রোনিং পদ্ধতির সাহায্যেই বিদ্যা দেবী করোনাজয় করতে সক্ষম হয়েছেন বলেই জানালেন তাঁর ছেলে হরি মোহন।


করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ক্রমাগত শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছিল বিদ্যা দেবীর। একসময় তা নেমে যায় ৭৯-এ। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পরিবারের লোকজন। সেই অবস্থায় চিকিৎসক বৃদ্ধাকে প্রোনিং পদ্ধতিতে শোওয়ার কথা বলেন। যা বজায় রেখে চারদিনের মধ্যে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের বেশি পৌঁছে যায় বলেই জানিয়েছেন বৃদ্ধার পুত্র। বর্তমানে করোনামুক্ত বিদ্যা দেবী। বেশ সুস্থও তিনি। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৭-র বেশি বলেও জানিয়েছেন তাঁর পুত্র।


কয়েকদিন আগে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও সেলফ আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রোনিং পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


কী এই প্রোনিং পদ্ধতি-


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রোনিং এক ধরণের শোওয়ার পদ্ধতি। যেক্ষেত্রে উপুড় হয়ে শুতে হয়। পিঠের বদলে বুকে ভর দিয়ে বিছানায় বা মাটিতে শুতে বলা হয়। প্রয়োজনে বালিশ ব্যবহারের পরামর্শও এক্ষেত্রে দেন অনেক চিকিৎসক। পেটের দিকে বালিশ দিয়ে শোয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়।


উপুড় হয়ে শুয়ে তারপর ক্রমাগত বেশ কিছুক্ষণ ধরে জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথায়, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এই প্রোনিং পদ্ধতি খুবই উপকারী। বিশেষ করে কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে যা বাড়তি কাজের।




হোম আইসোলেশনে যে সমস্ত করোনা আক্রান্তরা রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এমনিতেই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন ঘণ্টা ছয়েক অন্তর শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা মাপার। যদি কোনওভাবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর নীচে নেমে যায়, সেক্ষেত্রে প্রোনিংয়ের সাহায্য নেওয়ার বার্তাই দেওয়া হয়েছে।


প্রোনিং পদ্ধতি ব্যবহার করার পরও যদি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা না বাড়ে সেক্ষেত্রে কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।