নয়াদিল্লি: একবার কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে ফের BA.2 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। আশা জাগিয়ে এমনটাই দাবি একটি গবেষক দলের। 


কোভিড সংক্রমণ নিয়ে গত দুটি বছরে ক্রমাগত নাজেহাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। একের পর এক দেশে হানা দিয়েছে কোভিড ভাইরাস। পরপর কোভিড ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে। ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের পর ভয় ধরিয়েছে ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যগুলির চেয়ে অনেকে বেশি, এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বের তাবড় গবেষক এবং চিকিৎসকরা। একই কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। ওমিক্রনের তিনটি সাব ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য BA.1 এবং BA.2


বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের দাপট অনেকটাই কমছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউরোপ এবং এশিয়ার একাধিক দেশে BA.2 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তার পরেই বেড়েছে আশঙ্কা। ওমিক্রনের দাপটের পর পুনরায় সংক্রমণের (re infection) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গবেষণা। একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও, প্রতিরোধক্ষমতার ফাঁক গলে ফের সংক্রমণ ঘটাতে পারে BA.2 ভ্যারিয়েন্ট। আগে এমন আশঙ্কার কথা বলেছিলেন অনেক গবেষকই।  


এবার আশার কথা শোনাল নতুন এই গবেষণা। গবেষক দলের সদস্য, ডেনমার্কের স্ট্যাটেনস সিরাম ইন্সটিটিউটের (statens serum institute) ডিপার্টমেন্ট অফ ভাইরাস অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজিক্যাল স্পেশাল ডায়গনিস্টিকসের মর্টেন রাসমুসেন (morten rasmussen) বলেন, 'BA.1 ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের পর ফের BA.2 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন কেউ কেউ, এমন প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কিন্তু সেটা অত্যন্ত বিরল।' গবেষণার সময়ে পুনর্সংক্রমণের সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতার দৌড় এবং স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে টানা নজরদারি করে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ওই গবেষক।


ডেনমার্ক এবং অস্ট্রেলিয়ার একাধিক গবেষক এই গবেষণা চালিয়েছেন। ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক সংক্রমণের নমুনা স্যাম্পেল হিসেবে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। ২০ দিনের বেশি থেকে ৬০ দিনের কম সময়ে কোনও এক ব্যক্তিক দুবার পজিটিভ এসেছে এমন নমুনা নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। মোট ১৮৭টি রি-ইনফেকশনের ঘটনার মধ্যে ৪৭টি ঘটনায় দেখা গিয়েছে BA.1 সংক্রমণের কিছুদিনের মধ্যেই BA.2 সংক্রমণ হয়েছে। এমন হয়েছে মূলত টিকা নেননি এমন কমবয়সের কয়েকজনের ক্ষেত্রে। সংক্রমিত হলেও মৃদু উপসর্গের সমস্যা ছিল। 
শুধুমাত্র সংক্রমণের কারণে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তার তুলনায় টিকা নিলে এবং সংক্রমণ হলে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তা অনেক বেশি কার্যকরী। মনে করছেন গবেষকরা। 


আরও পড়ুন: টিকাকরণ হলে আরটিপিসিআর নয়, পর্যটনে নয়া বিধি ৫ দেশে