কলকাতা: দেখতে দেখতে এসে গিয়েছে শীতকাল (Winter)। আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়ে গিয়েছে। বাইরে বেরলেই ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভূত হচ্ছে। তবে, শীতকাল মানে শুধুই ঠান্ডা উপভোগ করা নয়। শীতকাল যেমন এসেছে, তেমন সঙ্গে নিয়ে এসেছে অনেক অসুখও। তার জন্য প্রথম থেকেই লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া দরকার। 


করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই জানাচ্ছেন যে, এই সময়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া খুবই জরুরি। তার জন্য লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে শরীর গরম রাখতে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ সাহায্য করে আমন্ড বাদাম। আমন্ড (Almond) বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অজানা নয়। হজমশক্তি উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক সচল রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও হাড় এবং দাঁতের জন্য দারুণ উপকারী আমন্ড। কিন্তু শীতকালে কেন আমাদের নিয়মিত আমন্ড বাদাম খাওয়া দরকার, তা জানাচ্ছেন তাঁরা।


১. আমন্ড বাদামে রয়েছে একাধিক উপকারি উপাদান। যা মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক সচল রাখার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি উন্নত করে আমন্ড। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।


আরও পড়ুন - Eye Care Tips: শীতকালে কীভাবে চোখের যত্ন নেবেন?


২. আমন্ড বাদামে এমন কিছু উপাদান পাওয়া গিয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে মস্তিষ্কের কোষগুলির বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করেছে। আমন্ড বাদামে থাকা ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ক উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে।


৩. আমন্ড বাদামে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে শিশুদের আরও বেশি পরিমাণে আমন্ড বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।


৪. শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে আমন্ড বাদাম। স্ন্যাকসে অন্য যেকোনও খাবারের পরিবর্তে একমুঠো আমন্ড বাদাম খেলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং এনার্জিও বেশি থাকবে শরীরে।


৫. কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে তো অবশ্যই, এছাড়া সমস্ত সময়ই আমন্ড বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া প্রতিরোধ করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।