নয়াদিল্লি: বিশ্বের দূষণ প্রবণ দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ভারত। সারা বিশ্বে যত জন ব্যক্তি ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজে (Chronic Obstructive Pulmonary Disease) আক্রান্ত হন, তার মধ্যে অধিকাংশই ভারতের বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে আসার জেরেই বর্তমান সময়ে সিওপিডি-তে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এর পাশাপাশি সচেতনতার অভাবে বাড়ছে COPD আক্রান্তের সংখ্যা।


প্রতিবছর ১৭ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড সিওপিডি-ডে পালন করা হয়। সিওপিডির সম্পর্কে সচেতন করতেই এই দিন পালন করা হয়ে থাকে। সুস্থ ফুসফুসের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হয় না, এই বার্তা দিয়ে এবার World COPD Day র থিম "Healthy Lungs - Never More Important"। সিওপিডি মূলত বাতাসে ভাসমান কণার কারণে হয়। ৪০ ঊর্ধ্ব যেসব ব্যক্তিরা মূলত ধূমপান (Smoking) করেন তাঁদের ক্ষেত্রেই সিওপিডি-র সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এর পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে যেসব মহিলারা উনুন বা বায়োগ্যাসে রান্না করেন তাঁদেরও সিওপিডি-তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসে একাধিক সংক্রমণ হতে পারে। এর পাশাপশি সিওপিডি-র একটা কারণ বায়ুদূষণ।  


করোনা (Covid19) পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সিওপিডি। গবেষণা বলছে, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের তুলনায় বেশি সিওপিডি আক্রান্তদের আইসিইউ-তে রাখতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিওপিডি- তে কেউ একদিনে আক্রান্ত হন না। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে। কিন্তু অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। ফলে ঠিক সময় চিকিৎসাও করা সম্ভব হয় না।


কীভাবে বুঝবেন COPD-তে আক্রান্ত?



  • প্রাথমিক উপসর্গ শ্বাসকষ্ট।

  • শারীরিক পরিশ্রমের পরে, হালকা কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে চাপ অনুভূতি।

  • পরবর্তী পর্যায়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি, ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা।

  • ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব, পা, গোড়ালি এবং পা ফুলে যাওয়া। একইসঙ্গে ঠোঁট ও নখ নীল বা ধূসর হয়ে যাওয়া।



মুম্বই ফর্টিস হাসপাতালের ফিজিশিয়ান ও কার্ডিওলজিস্ট ডা. রাজেশ জি  গজারা বলেন, “প্রথমে অনেকেই এই উপসর্গ দেখে বুঝতে পারেন না। সর্দি-কাশি হলে অনেকেই সেটার কারণ ঋতু পরিবর্তন বলে ধরে নেন। পরে তা মাত্রাতিরিক্ত চেহারা নেয় এবং অনেকটা দেরিও হয়ে যায়।


উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের মতে COPD সম্পর্কে কম জনসচেতনতার ফলে এই রোগ নির্ণয়ে দেরি হয়।  যার জেরে সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ে। এপ্রসঙ্গে দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের ডিরেক্টর প্রশান্ত সাক্সেনা বলেন, “সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে রোগীর চিকিৎসা করতে সুবিধা হয় চিকিৎসকের। সময়মতো চিকিৎসা করালেই একজন রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।’’


আরও পড়ুন: Delhi Air Pollution hearing: সুপ্রিম কোর্টে পিছোল দিল্লি দূষণ-মামলার শুনানি