আঙ্কারা: ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কাজ। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনাযোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময়ই টিকা দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের। তবে তুরস্কে যে সমস্যা হচ্ছে, সেটা বোধহয় বিশ্বের অন্য কোনও দেশেই হচ্ছে না।
তুরস্ক সরকার সারা দেশেই টিকা প্রদানের কর্মসূচি চালু করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিও এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। তার ফলেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সমস্যা বেড়েছে। একটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য রীতিমতো কষ্ট করে পাহাড় চড়ে পৌঁছতে হচ্ছে।
তুরস্ক সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে খুব কম মানুষই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। ওই গ্রামের অনেক বাসিন্দাই সংক্রমণের ভয়ে টিকা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তাঁদের জন্যই ওই গ্রামে পৌঁছে টিকা দিচ্ছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এ বছরের শুরুর দিকেই তুরস্কে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু তারপর থেকেই টিকাকরণের গতি কমে এসেছে। কারণ, চিকিৎসক-নার্সদের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছতে হচ্ছে।
এদিকে, সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৪৬ জনের। সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি ১৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬১৭। বিশ্বজুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ কোটি ২৮ লক্ষ ৮ হাজার ৬৮১ জন।
অন্যদিকে, ভারতে করোনায় কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। সেইসঙ্গে কমেছে দৈনিক সুস্থতাও। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৮৫ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ৫ হাজার ৮৫০। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪১০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৯০। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৯৯। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ২৬৪। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬৯৫ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৬৬৭। দেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। দেশে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।