কলকাতা : করোনা থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নিতেই হবে ! তাই জোরকদমে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি।  বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনতে ছাড়পত্র দিয়েছে হু (WHO)। এর মধ্যে আছে, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, ফাইজার, এনবায়োটেক, মডার্না এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো বেশ কয়েকটি টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 


এখন ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ কমপ্লিট হওয়ার পরও কি বুস্টার ডোজ প্রয়োজন? এই নিয়ে নানা বিশেষজ্ঞের নানা মত। মার্কিন মুলুকে বুস্টার টিকা দেওয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু  কাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া আবশ্যক ? কাদের নিতে হবে না ? এই নিয়ে নতুন পরামর্শ দিল হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, যাঁদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম, তাঁদের বুস্টার ডোজ নেওয়া আবশ্যক। যাদের শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ততদিন টিকার কার্যকারিতা স্থায়ী হয়। 




WHO সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে জানায়, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁদের কোভিডের ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ জরুরি। 

 

এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মোট ৭টি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। 


  • মডার্না ( Moderna )

  • ফাইজার - বায়োএনটেক ( Pfizer-BioNTech)

  • জনসন অ্যান্ড জনসন (Johnson & Johnson)

  • অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca)

  • কোভিশিল্ড (Covishield)

  • সিনোফার্ম (Sinopharm)

  • সিনোভ্যাক ( Sinovac )

  • জনসনের ভ্যাকসিনটি ছাড়া বাকিগুলির দুটি করে ডোজ। 


WHO- এর অন্যতম কর্ণধার  Tedros Adhanom Ghebreyesus বলেন, বুস্টার ডোজ ভেবেচিন্তে ব্যবহার করা প্রয়োজন। ধনী দেশগুলি যেখানে বুস্টার দেওয়া নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে, সেখানে গরিব দেশগুলি সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রাথমিক দুটি ডোজই দিতে পারছে না।  

ভারতে করোনা পরিস্থিতি :


উত্‍সবের মরসুমে দেশে কমল করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮১ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩১৩।  দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৬৩ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯২০। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৯০০।