কলকাতা : শিয়রে সঙ্কট। পুজোর মাসে স্বস্তির খবর তো নেইই, উপরন্তু তৃতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। রিপোর্ট সতর্ক করেছে অক্টোবরেই শিখরে পৌঁছবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে সতর্ক করে রিপোর্ট পাঠানোও হয়েছে । শিশুরা কি সত্যিই সঙ্কটে? কতটা ? এবিপি লাইভের সঙ্গে আলোচনা করলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় (Prof and head of pediatrics  ICH kolkata)। 



  • শিশুদের নিয়ে স্বস্তিতে থাকার কারণ আছে কি?
    তিনি জানালেন,  এই মুহূর্তে স্বস্তির কোনও কারণ নেই। তাঁর পর্যবেক্ষণ বলছে, ফের কিছুটা গা-ছাড়া ভাব দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে। নাকের নীচে নামছে মাস্ক। ভ্যাকসিনেশনে অনীহা দেখা দিচ্ছে। কেউ কেউ আবার একটি ডোজ নেওয়ার পর পরবর্তী ডোজটি নিতে যাচ্ছেন না এই ভেবে যে, ভ্যাকসিন নিলেও তো করোনা রোখা যাচ্ছে না। এটাই অশনি সঙ্কেত।

  • কী কী ভ্যাকসিন আসছে শিশুদের জন্য ?
    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, এই সময়টা শিশুদের আরও বেশ করে সতর্ক থাকতেই হবে। যেহেতু শিশুদের ভ্যাকসিনেশন এখনও শুরু হয়নি । ডিজিসিআই এর ছাড়পত্র পেয়েছে জাইকভ ডি, যা ভারতে প্রথম  ডিএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন।  খুব শিগগিরিই ২  বছরের উপরের শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন আনতে চলেছে ভারত বায়োটেক। যা ছাড়পত্র পেলে বেশিরভাগ শিশুকেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে।

  • শিশুদের ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত? 
    অনেকে মনে করছেন, শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া কতটা সুরক্ষিত হবে। তবে ডা. জয়দেব রায়ের আশ্বাস, এই ভ্যাকসিনটি বিরাট মাত্রায় ট্রায়াল হওয়ার পরই ছাড়পত্র পেয়েছে, এর ফলাফলও বেশ ইতিবাচক। তাই দ্বিধা না করে শিশুদের ভ্যাকসিন বাজারে এলেই তা দিতে হবে। তাহলেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা থেকে শিশুদের রক্ষা করা যাবে। 


অনেকেরই ধারণা, বাচ্চাদের তো করোনা সেভাবে ঘায়েল করতে পারছে না, তাহলে ভ্যাকসিন না দিলে ক্ষতি কি। কিন্তু শিশুদের একবার করোনা হলে পরবর্তীতে অনেক জটিলতা হচ্ছে। সেগুলি প্রতিহত করতে করোনা হওয়ার বিষয়টি।
বিশেষজ্ঞদের মতে,  অক্টোবরের মাঝামাঝি শিখর ছোঁবে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। এছাড়া, তৃতীয় ঢেউয়ে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ওই রিপোর্টে বাড়তি সতর্কতা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ভ্যাকসিনেশনই বাঁচাতে পারে বড় সমস্যা থেকে, মত ডা. জয়দেব রায়ের। 
তবে আপাতত স্তস্তি, দেশে করোনায় ফের ৩০ হাজারের নীচে নামল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক মৃত্যু।