লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রন নিয়েও জোরাল হচ্ছে উদ্বেগ। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। এই প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের একাংশ কিছুটা আশার আলো দেখালেও, অপর অংশ বলছেন, সতর্ক না থাকলেই বিপদ! সব থেকে চিন্তার বিষয় হল, নতুন ধরনের উপসর্গ নিয়ে হাজির এবার করোনা ঢেউ। নানারকম নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে এবার কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে নতুন অনেককিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। 


এখন পর্যন্ত, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের মধ্যে যে লক্ষণগুলি প্রকট তা হল - 



  • সাধারণ সর্দি-কাশি

  •  মাথাব্যথা

  • গলা ব্যথা

  • নাক দিয়ে জল পড়া

  • ক্লান্তি বোধ করা

  • ঘন ঘন হাঁচি

  • হালকা জ্বর

     যাইহোক, যুক্তরাজ্যের ZOE কোভিড স্টাডি অ্যাপের প্রধান প্রফেসর টিম স্পেক্টরের পরামর্শ , 

  • সর্দির মতো উপসর্গে ভুগল্ এমন প্রত্যেককে অবিলম্বে পরীক্ষা করতে হবে

  •  জ্বর, কাশি এবং গন্ধ হ্রাসের মতো লক্ষণগুলি এখন বেশিরভাগেরই হচ্ছে না। 

  • করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যে লক্ষণগুলি বেশি প্রকট ছিল, সেগুলি এবার দেখা যাচ্ছে না তেমন ভাবে।


    করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও নানা সংশয়, নানা প্রশ্ন রয়েছে! ওমিক্রন কি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে কম ক্ষতিকারক না বেশি? এই ভ্যারিয়েন্ট কি ডেল্টার থেকে দ্রুত গতিতে ছড়ায়? ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ ছড়ানোর নেপথ্যে কি রয়েছে ওমিক্রন? ওমিক্রন আক্রান্তদের বেশিরভাগকে কি হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ছে না? ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে কি অক্সিজেনের অভাব সেভাবে দেখা দিচ্ছে না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সব প্রশ্নের নির্দিষ্ট করে কোনও উত্তর দেওয়ার সময় এখনও আসেনি! তবে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকদের একাংশ। যদিও খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন আখ্যা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র, রাজস্থানে ইতিমধ্যেই ২জন ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।  এই প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ বলছে, অত্যন্ত সতর্ক না থাকলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে।


     


    চিকিৎসক  দেবকিশোর গুপ্ত জানালেন,  ' এখনই বলার সময় আসেনি। আরও অনেকটা পথ যেতে হবে। অসতর্ক হওয়ার জায়গা নেই। পরের দিকে কোন দিকে গড়াবে, কেউ জানে না' 


    আপাতত করোনার সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। নতুন বছরে কপালে কী অপেক্ষা করে আছে?  আতঙ্কিত সাধারণ মানুষের মনে এখন এই একটাই প্রশ্ন।