মুম্বই : বিশ্বজোড়া পরিসংখ্যানে সামনে উঠে আসছে শিউরে দেওয়ার মতো তথ্য। জানা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে শিশুদের ক্ষেত্রে। সদ্যজাত ও একেবারে ছোট বাচ্চাদের অনেকেই শুধু আক্রান্তই হচ্ছে না, তাদের শরীরে তৈরি হচ্ছে একাধিক জটিল উপসর্গ। এমন অবস্থায় এখন থেকেই আশু পরিস্থিতি সামলাতে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিল বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)।
এমনিতেই মারণ ভাইরাসের থাবায় কোনও শিশু আক্রান্ত হলে তাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রবলভাবে ব্যাহত হয় বলেই জানান চিকিৎসকরা। কোনও শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছিল কি না তার ওপর বিচার করে অনেকক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ওষুধের ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় চিকিৎসকদের। এই অবস্থায় যদিও একেবারে খুদে অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয় কোনও শিশু তাহলে বিভিন্ন উপসর্গ খুব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। যা কার্যত প্রাণঘাতী চেহারা নিতে পারে বলেও আশঙ্কা। এই অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে খুদেদের জন্য বাড়তি কোভিড বেড সংযোজনের নির্দেশিকা দিয়েছে তারা।
এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র সহ গোটা ভারতবর্ষ লড়ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে। কার্যত প্রত্যেকদিনই লাখো ভারতীয় সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রাণও হারাচ্ছেন অনেকেই। এর মাঝেই আশঙ্কা পরের ঢেউ নিয়েও। কারণ জার্মানি সহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ওপর প্রবল নেতিবাচক প্রভাব ফেলার খবর জানা গিয়েছে।
পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, মহারাষ্ট্রে কোভিডের দ্বিতীয় ডেউয়ে আক্রান্তের দুই-তৃতীয়াংশেরই বয়স ৫০-এর নীচে। ৩১ থেকে ৪০ বয়সীদের মধ্যে সংখ্যাটা সর্বোচ্চ। ২২.০৯ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ ও ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে যা যথাক্রমে ১৮.১৫ ও ১৭.৫১ শতাশ। আর সদ্যজাত থেকে ১০ বচৎ বয়সূ ও ১০ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের হার যথাক্রমে ৩.০৪ ও ৬.৮০ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থাকরের পুত্র আদিত্য থাকরে জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে ক্রমশ চেহারা বদলাচ্ছেন করোনা ভাইরাস। অভিযোজিত হতে বিভিন্ন মিউটেশন হচ্ছে ভাইরাসের চরিত্রে। তাই বর্তমান লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে আগামী লড়াইয়ের কাজ শুরু করলাম আমরা।