কলকাতা : করোনা পরিস্থিতিতে চারিদিকে বেডের আকাল। রোজই বাড়ছে সংক্রমিতর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের আরও ভাল পরিষেবা দিতে এবার আলোচনায় মুখ্যসচিব। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সব সরকারি হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে চলছে বৈঠক।
ইতিমধ্যেই সেফ হোমের কথা বলা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ বিভিন্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যসচিব স্থির করবেন এই মুহূর্তে আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। কীভাবে আরও করোনা বেড বাড়ানো যায়। সেই সঙ্গে তাঁর কাজ করতে গিয়ে কী কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন , তাও শুনবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নন্দনে এই নিয়ে চলছে বৈঠক ।
অন্যদিকে উত্তীর্ণ ভবনে চলছে সেফ হোম তৈরির কাজ। পাতা হয়েছে ২০০টির মতো করোনা রোগীদের জন্য বেড। ব্যবস্থা করা হচ্ছে শৌচালয়েরও। উপস্থিত আছেন ডা. অভিজিত্ চৌধুরীর মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিত্সকরা।
গতকালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্যে তৈরি করা হবে বেশকিছু সেফ হোম ও কোয়ারেন্টিন সেন্টার। আলিপুরে উত্তীর্ণ ভবনেই ৪00 শয্যার সেফহোম তৈরি হবে । এছাড়াও আনন্দপুরে ৭00 শয্যার, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২00 বেডের সেফ হোম তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন। রাজ্য সরকার আরও বেশকিছু সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা আছে, জানালেন ফিরহাদ হাকিম । তিনি আরও বলেন, বাইরে দশটি করে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকবে ।
গতকাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির একটি জরুরি বৈঠক হয়। তাতে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য । রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এবারে গতবারের চেয়েও করোনার জন্য বাড়াতে হবে ২৫ থেকে ৩0 শতাংশ বেড।
২১ এপ্রিল থেকে খুব জরুরি নয় , এমন অস্ত্রোপচার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। অর্থাৎ যে কোনও মূল্যে হাসপাতলে কোভিড বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে । রাজ্য সরকার চাইছে , সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে কোভিড বেডের সংখ্যা সাত থেকে আট হাজারে নিয়ে যেতে।
অন্যদিকে রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। সোমবারের হিসেব অনুসারে,