টরন্টো : কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে বজায় রেখে চলছেন দু'মিটার দূরত্ব? গণ পরিবহনে যাতায়াতের সময় মেনে চলছেন দূরত্ববিধি? তার সত্বেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আশঙ্কা বাড়িয়ে এমন তথ্যই জানাচ্ছে নতুন এক সমীক্ষা।


কোভিডের বাড়াবাড়ি শুরু হওয়ার সময় থেকে চিকিৎসকমহল থেকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরার, দূরত্ববিধি বজায় রাখার গুরুত্ব। কোভিডের শৃঙ্খল ভাঙতে দূরত্ববিধি পালন করা একান্ত প্রয়োজনীয় বলেই জানা ছিল এতদিন, কিন্তু সেই ধ্যান-ধারণা বাধ্য হয়ে বদলানোর সময় এসেছে বলেই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির।


তাদের বক্তব্য, কোভিড সংক্রমণের প্রথমদিকে বিশ্বাস ছিল ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়। কথা বলা বা হাঁচি-কাশির সময় যা ছড়ায় বলেই দূরত্ববিধি বজায় রাখার পরামর্শ ছিল। এই ড্রপলেট তুলনামূলক ভারী। কিন্তু এখন বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে এয়ারোসোলের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়ায়।


কিছুদিন আগে বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছিল, বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনা। যার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, তুলনামূলক হালকা ও হাওয়ায় ভাসতে সক্ষম এয়ারোসোলের কথাই।


ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে যুক্ত মার্টিন বাজান্টের মতে, হাওয়ায় ভেসে কোভিড ১৯-র সংক্রমণের বিষয়টার গুরুত্ব যথেষ্ট। সমীক্ষকদের পক্ষ থেকে তাই জানানো হচ্ছে, বেশি লোকজন রয়েছে এমন জায়গায় বেশিক্ষণ না থাকাই তাই স্রেয়।


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বেশিসম্ভব সময় ইন্ডোর কোনও জায়গায় থাকা, মাস্কের ক্রমাগত ব্যবহারের মতো একাধিক বিষয় নির্ভর করছে সংক্রমণের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, হাওয়া-বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে থাকাটা তুলনামূলক স্বস্তির।


একসঙ্গে বেশিজন এক ঘরে থাকা, একত্রিত হয়ে ব্যায়াম, গান-গাওয়ার মতো কাজের সময় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বাড়তি আশঙ্কা রয়েছে বলেই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে সমীক্ষক দল কাজ চালাচ্ছে নতুন আর একটি বিষয়ের উপর। সংক্রমিত হননি এমন কেউ যদি সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে একই ঘরে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে তাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ঠিক কতটা, তা নিয়ে।