চরিত্র বদলেছে করোনা! আগের থেকে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়েছে অক্সিজেন আর ভ্যাকসিনের আকাল। ১৮ বছরের ওপরে যাঁদের বয়স, তাঁরা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পেলেও এখনও ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়নি ছোটদের। আর এখানেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কারণ, আগের থেকে এবার করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ছোটরা।
- জ্বর, সর্দি-কাশি
- বমি
- পেট খারাপ
- স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া
- শরীরে ব্যথা
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া
- গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া
-- ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে । গত বছরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল শিশুরা। কিন্তু সেইবার আর এইবারের মধ্যে ফারাক বিস্তর। জানালেন, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়দেব রায়। চিকিত্সক জানান, আগেরবার শিশুরা আক্রান্ত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাসিম্পটোম্যাটিক বা উপসর্গহীন ছিল। কিন্তু এবারে দেখা যাচ্ছে উপসর্গও।
কিন্তু স্কুল তো বন্ধ গতবছর থেকেই। আর প্রয়োজন ছাড়া শশুরা বাইরেও বেরচ্ছে কম। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তারা ? বিশেষজ্ঞদের মতে, মা-বাবা, পরিবারের লোক আক্রান্ত হলেই, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে শিশুদের দেহেও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত পয়লা মার্চ থেকে চৌঠা এপ্রিল পর্যন্ত দেশের করোনাপ্রবণ পাঁচটি রাজ্যে, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৬৮৮ জন শিশু। তবে কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করা সম্ভব? চিকিত্সকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি সাবধান হতে হবে বড়দের।
শিশুদের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচাতেকী কী করা প্রয়োজন ? শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়দেব রায় জানাচ্ছেন -
- ছোটদের জ্বর ও অক্সিজেন লেভেল খেয়াল রাখতে হবে
- মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বাড়ির মধ্যেও
- স্যানিটাইজেশনে জোর দিতে হবে
- বাইরে থেকে এসেই ছোটদের আদর করা চলবে না
শিশুদের ক্ষেত্রে পোস্ট কোভিড সমস্যা নিয়েও উদ্বিগ্ন চিকিত্সকরা। এই প্রেক্ষিতে চিকিত্সকদের মতে, বড়দের পাশাপাশি দ্রুত শুরু করা জরুরি শিশুদের ভ্যাকসিনেশন।