কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম। এরই মাঝে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে সর্দি-কাশি-জ্বর।
কাবু আট থেকে আশি।
উপসর্গ -
- তীব্র হাঁচি, কাশি।
- নাক লাল হওয়া।
- নাক দিয়ে জল পড়া।
- প্রচন্ড মাধথা ধরা।
- ঘুষঘুষে জ্বর।
আরও পড়ুন :
জ্বরের লক্ষণ দেখে বোঝার উপায় আছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া না RSV র আক্রমণ ?
কিন্তু ঠাণ্ডা লেগে শরীর খারাপ, না কি অ্যালার্জি? কোনটা কাবু করেছে বুঝবেন কী করে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন ,
অ্যালার্জি : শীতের মরসুমে নানা কারণে অ্যালার্জি হয়। যেনন, ধুলো, পরাগ এবং পশুর চামড়া। অ্যালার্জির দরুণ যে কাশি হয় তা ঋতু শেষ হওয়ার পরে চলে যেতে পারে। গুরুতর বা একাধিক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে
- চোখ চুলকায়।
- সর্দি কম, কাশি বেশি হয়।
- জ্বর হয় না সাধারণত
- গ্ল্যান্ড ফোলে না।
ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে সর্দি-গর্মি, কাশি, জ্বর হয়। এক দেড় সপ্তাহের মধ্যে সুস্থও হয়ে যান রোগী।
চিকিৎকদের পরামর্শ, অ্যালার্জি হলে কী থেকে তা হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। তারপর ব্যবস্থা নিতে হবে সেই মতো। অ্যালার্জি হোক বা ঠান্ডা লাগা, উপসর্গে মিল থাকলেও, চিকিৎসার ধরন কিন্তু আলাদা। তাই ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা।
বার বার কুয়াশায় আটকে পড়ছে শীত। তার ওপর বাতাসে বাড়ছে ধূলিকণার পরিমাণ। সেই পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করেই দাপট দেখাচ্ছে সর্দি-কাশি। কুয়াশা কাটলেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে বলে আশা। কিন্তু আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, বড়দিনের আগে সে সম্ভাবনা কম। ততদিন সাবধানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।দূষণ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে ভাল থাকবে আপনার শিশু। বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।
শীতে অসুস্থতা এড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শ -
- কাকভোরে হাঁটতে বেরবেন না
- ভাসমান ধূলিকনা নীচে থাকে, সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা বাড়লে বেরবেন।
- সান্ধ্যভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
- ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিমুনিয়ার টিকা দেবেন।
- সহজপাচ্য খাবার খাবেন
- বেশি গরম উলের পোশাক এড়িয়ে চলবেন। উলের রোঁয়া থেকে অ্যালার্জি হয় অনেকের