অনির্বাণ বিশ্বাস, সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: বড়তলা থানার ওসি দেবাশিস দত্তের ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। পুজোর ডিউটিও করেছেন। এখন তিনি করোনায় আক্রান্ত।
পুজোয় উপচে পড়া ভিড় বলে দিয়েছে, করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক ভুলে গিয়েছিলেন অনেকেই। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ, প্রত্যেকেই একমত, যেভাবে পুজোর সময় সাধারণ মানুষ করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে রাস্তায় নেমেছিলেন, এবার তার ফল ভোগ করতে হতে পারে! ভেবে নিশ্চিন্ত ছিলেন! অনেকেই ভিড় ঠেলে প্যান্ডেল হপিং করেছেন। মাস্ক পরারও বিশেষ প্রয়োজন বোধ করেননি। পরিণাম দেখা যাচ্ছে হাতেনাতে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বুধবার, কলকাতায় সংক্রমিত ২৪৪ জনের মধ্যে ১৩২ জনেরই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ৩৬২ জন সংক্রমিতের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৩ জন।
আরও পড়ুন :
লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, পুজোর ছুটির পর স্কুল খুলবে?
শুক্রবারের পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩১৯ জন সংক্রমিতের মধ্যে ১৫০ জনেরই ডবল ডোজ ভ্যাকসিন হয়ে গেছে। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের মতে, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি, কোভিডে মৃত্যুহার কমিয়ে আনাই আমাদের টার্গেট। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যাদের কোভিড হচ্ছে, সাধারণত তারা মাইল্ড সিম্পটম নিয়ে আসছে। এদের মৃত্যু হার ভ্যাকসিন না নেওয়া পপুলেশনের তুলনায় অনেক কম।
চিকিৎসক কুমারদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ভ্যাকসিন কখনওই চূড়ান্ত নিরাপত্তা দেয় না। তাই বেশকিছু জন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে তাদের রোগের সিরিয়াসনেস সেটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বলছেন, দীপাবলির আগে আরও সতর্ক হতেই হবে সাধারণ মানুষকে। নইলে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করে আছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. কাজলকৃষ্ণ বণিকের মতেও, ভ্যাকসিন কোনও সময়েই চূড়ান্ত নিরাপত্তা দেয় না ! ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে, কোভিড বিধি মানতে হবে। চিকিৎসক সৌগত ঘোষের মতও তেমনটাই।