কলকাতা: শরীরে এনার্জির অন্যতম মূল উৎস অবশ্যই ব্লাড সুগার (Blood Sugar) বা গ্রুকোজ (Glocose)। শরীরে শর্করার মাত্র যখন অতিরিক্ত হয়ে যায়, তখন শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আবার যখন শর্করার মাত্রা বেশি হয়ে যায়, তখনও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ (Health Expert) জানাচ্ছেন, আমাদের শরীরে যখন গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় বা ব্লাড সুগার লো হয়ে যায়, তখন সেই শারীরিক অবস্থাকেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia) বলে। আজ কেন হঠাৎ হাইপোগ্লিসেমিয়া নিয়ে কথা বলা হচ্ছে? কারণ, এটা মধুমেহ সচেতনতা মাস চলছে। তাই মধুমেহ রোগীদের জন্য হাইপোগ্লাইসেমিয়া জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যখনই আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, তখনই শরীরে হাইপোগ্লিসেমিয়া তৈরি হয়। তাঁদের মতে, প্রতিটা মানুষের শরীরে হাইপোগ্লিসেমিয়া একরকমভাবে বৃদ্ধি পায় না। হাইপোগ্লাইসেমিয়া মধুমেহ রোগীদের জন্য বা যেকোনও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা মারাত্মক, সে সম্পর্কেও জানাচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন - Health Tips: খাবার খাওয়ার পর হাঁটছেন? শরীরের উপকার হচ্ছে নাকি ক্ষতি করে ফেলছেন?


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইপারগ্লিসেমিয়া (Hyperglycemia) বা হাই ব্লাড সুগারের তুলনায় হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা লো ব্লাড সুগার (Low Blood Sugar) বেশি ক্ষতিকর। কারণ, হাইপোগ্লিসেমিয়া দেখা দিলে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় বলে মত তাঁদের। এছাড়াও, চোখে ঝাপসা দেখা, অত্যধিক খিদে পাওয়া, হৃদস্পন্দন অত্যধিক হয়ে যাওয়া, ঘেমে যাওয়া, কোনও বিষয়ে মনঃসংযোগ করতে না পারার পাশাপাশি বিভ্রান্তি তৈরি করা, উদ্বেগ, মাথার যন্ত্রণার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্ত লক্ষণগুলো যদি কারও মধ্যে দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তির মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিয়েছে। 


কীভাবে প্রতিরোধ করবেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া?
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার।


২. বাড়ির বাইরে কোথাও গেলে পকেটে লজেন্সজাতীয় কিছু রাখুন।


৩. নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।