কলকাতা: স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে মধুমেহ (Diabetes) রোগীদের অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। খাদ্যাভ্যাসে একটু হেরফের হলেই স্বাস্থ্য়ের অবনতি হতে পারে। তাই খাদ্যাভ্যাসে সামান্য এদিক ওদিক তো নয়ই বরং অনেক বেশি নজরদারি রাখতে হয়। কিন্তু মধুমেহ রোগীদেরও তো মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। যদি মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবার একান্তই খেতে হয়, তাহলে তাঁদের ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বহু সমীক্ষায় এবং তথ্যে প্রকাশিত হয়েছে যে, মধুমেহ রোগীদের জন্য কিছু কিছু ফল দারুণ উপকারী। শুধু যে মিষ্টিজাতীয় ফল খেতে সুস্বাদু তাই নয়, কিছু কিছু ফল মধুমেহ রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রাও সঠিক রাখতে সাহায্য করে। 


আরও পড়ুন - Insomnia and Health: অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজকার তালিকায় কোন কোন খাবার রাখবেন?


বিশেষজ়্রা জানাচ্ছেন যে, মরশুমি ফল প্রত্যেক মানুষের স্বাস্থ্য়ের জন্য় দারুণ উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ছাড়াও ফলে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কোন কোন ফল মধুমেহ রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী, তা জেনে নেওয়া যাক এক ঝলকে-


১. অ্যাভোক্যাডোতে যে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান থাকে, তা আমাদের সকলেরই জানা। এছাড়াও এতে ২০ ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে। আপেলে রয়েছে প্রচুর ফাইবারও। যা মধুমেহ রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Healthy Tips: কেন দিনের শুরুটা একমুঠো বাদাম দিয়ে করবেন? জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা


২. আপেলের উপকারী গুণাগুণ আমাদের কারওই বিশেষ অজানা নয়। তাছাড়া একটা প্রচলিত কথা রয়েছে, 'অ্যান অ্যাপেল এ ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে'। অর্থাৎ, প্রতিদিন যদি আমরা একটা করে আপেল খাই, তাই ডাক্তারের প্রয়োজন পড়বে না। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আপেল আমাদের স্বাস্থ্যের কত উপকার করে থাকে। একইরকমভাবে মধুমেহ রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী আপেল।


৩. পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অক্সিডেন্টস রয়েছে। মধুমেহ রোগীদের জন্য একেবারে অব্যর্থ ফল এটি। 


৪. মধুমেহ রোগীদের রোজকার খাবারের তালিকায় অবশ্যই বেরি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিসেষজ্ঞরা। এর মধ্যে ব্ল্যাক বেরি, ব্লু বেরি বা স্ট্রবেরি, যেকোনও প্রকার বেরি খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।


৫. মধুমেহ রোগীদের প্রতিদিনের তালিকায় অবশ্যই কমলালেবু রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় বলে তাঁদের মত।


৬.  শরীরে জলের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে তরমুজ। পাশাপাশি এই ফলে থাকা ভিটামিন বি, ভিয়ামিন সি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। চিকিৎসকেরাও তাই মধুমেহ রোগীদের রোজকার তালিকায় তরমুজ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।