আলোর উৎসব দীপাবলি। কিন্তু দেদার বাজিও পোড়ে। বারুদ-পোড়া সেই ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস।  করোনা আবহেই এবার উদযাপিত হবে দীপাবলি। কিন্তু বাজির ধোঁওয়ায় এবার পরিবেশের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। কোভিড আক্রান্ত তো বটেই, কোভিডমুক্ত হয়েও নিস্তার নেই! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকদের। 



  • করোনা থেকে সেরে ওঠার পর বাজির ধোঁয়ায় বিপদ ! 
    প্রতি বছর কালীপুজোর সময় বাতাসে দূষণের পরিমাণ অত্যাধিক হারে বাড়ে। আর এবার করোনা আবহে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আশঙ্কা!  চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা, কোভিড আবহে বাজির বিষ আরও সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিতে পারে। করোনা জয়ীদেরও নিশ্চিন্ত হওয়ার জো নেই। করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে কিছুদিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন। তবে মাঝেমধ্যে ভুগছেন শ্বাসকষ্টে। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের মতো, করোনায় ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় চূড়ান্ত ভাবে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও বেশ কিছু জনের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্তই থেকে যায়। কমজোরি মানুষগুলো বাজির দূষণ শ্বাসের সঙ্গে গেরহণ করলে আরও বিপদগ্রস্ত হবেন। চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূণ গিরির মতে, ধোঁয়ার বাজি বেশি ভয়াবহ, সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। 



  • ধোঁয়ার বাজিতে শিশুদের সমস্যা 
    চিকিৎসকরা বলছেন, কালীপুজোর সময় যেভাবে বাজি পোড়ানো হয়, তাতে শিশুর ফুসফুসে সমস্যা হতে পারে। কিংবা যে সমস্ত বাচ্চার ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে, বাজির বিষাক্ত ধোঁয়া সেই বিপদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।


  • প্রবীণদের ক্ষেত্রে আশঙ্কা আরও বেশি!
    চিকিৎসকরা বলছেন, যে সমস্ত বয়স্ক মানুষের সিওপিডির সমস্যায় ভুগছেন, বাজির ধোঁয়ায় তা বেড়ে যায়। আবার কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন যে বয়স্করা, তাঁদের ক্ষেত্রে ফুসফুসে ইনফেকশন বেড়ে যায়। আবার এই বাজি ফাটানোর ফলে বায়ু দূষণ হয়, সেই সময় বয়স্করা যে মর্নিং বা ইভিনিং ওয়াকে যান, তাঁদের ক্ষতি হয়, এই সময় সব বাতাসের নীচের লেয়ারে থাকে, কোভিডের ক্ষেত্রে পালমোনারি ফাইব্রোসিস দেখা যায়, এতে লাং, ফুসফুস শুকনো হয়ে যায়, যাঁদের ফুসফুস এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত, সেক্ষেত্রে ধোঁওয়া ইনহেল করলে ক্ষতি হতে পারে