কলকাতা: করোনা (Coronavirus) অতিমারির পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি অনেক ক্ষেত্রে বদলে গিয়েছে। স্বাস্থ্যের দিক থেকে বদল এসেছে। পেশাগত দিক থেকে বদল এসেছে। আবার পারিপার্শ্বিক নানা দিক থেকে নানা বদল এসেছে। করোনাভাইরাসের আক্রমণে গত প্রায় আড়াইটা বছর বিপর্যস্ত জনজীবন। কত মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কত মানুষের পেশায় অনিশ্চয়তা এসেছে। আর প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। কত মানুষ তাঁর প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলেছেন এই মারণ ভাইরাসের অকস্মাত হানায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে মহিলাদের স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বেশ কিছু অসুখের ঝুঁকি তাঁদের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের মতে, মহিলাদের মধ্যে আর্থরাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে করোনা পরবর্তী সময়ে।


মহিলাদের মধ্যে আর্থরাইটিসের সমস্যা বেড়েছে করোনা পরবর্তী সময়ে-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা অতিমারির সময়ে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় সমস্ত মানুষই ঘর বন্দি হয়ে ছিলেন। লকডাউনের কারণে বাইরে বেরনো নিষেধ ছিল। বাড়ির মধ্যে থাকার ফলে রোজকার হাঁটার অভ্যাস, শরীরচর্চার অভ্যাস, দৌড়নো, জগিং করা, সাইকেল চালানোর অভ্যাসগুলিতে অনেকটা বাধা পড়েছিল। আর এর ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্যে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে আর্থরাইটিসের কোনও সরাসরি যোগ না থাকলেও, ওই মারণ ভাইরাসের কারণেই মূলত মহিলাদের মধ্যে বেড়েছে বাতের সমস্যা। নাগাড়ে বাড়ির মধ্যে বন্দি থাকার কারণে সঠিকভাবে শরীরচর্চা হয়নি। আর এটাই মূল কারণ বাতের সমস্যা দেখা দেওয়ার।


আরও পড়ুন - Immunity: আসছে শীতকাল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই খাবারগুলি পাতে রাখুন


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আর্থরাইটিস বা বাতের সমস্যা দেখা দেওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা দরকার। তেমনই নিয়মিত শরীরচর্চাও করা দরকার। তবেই শরীর সুস্থ থাকে। আর্থরাইটিসের সমস্য়া আগে থেকে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার। নাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও বাতের সমস্যা যাতে শরীর বাসা বাঁধতে না পারে, তার জন্য রোজকার খাবারের তালিকায় রাখতে হবে হাড় মজবুত রাখার জন্য উপকারী খাবার। তার সঙ্গে নিয়মিত জগিং করতে হবে, সঠিক সময় মেনে হাঁটতে হবে, সাইকেল চালাতে হবে এবং আরও নানা শরীরচর্চা করতে হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।