নয়াদিল্লি : দেশে ফের বাড়ল করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দিল্লিতে নতুন করে সংক্রমিত হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে এক জনের। IIT মাদ্রাজে নতুন করে আক্রান্ত ৫৫। বাংলায়ও, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাহলে কি দ্বিতীয় ঢেউ-এর মতো আতঙ্ক ফিরবে দেশে ? আশঙ্কার মধ্যেই আশার বার্তা শোনালেন অতিমারী বিশেষজ্ঞরা।
প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো প্রাণঘাতী ও সংক্রামক হিসেবে আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ? তৃতীয় ঢেউয়ের মতো ঝড়ের গতিতে ছড়াবে সংক্রমণ? IIT কানপুরের গবেষণায় এই সম্পর্কে তথ্য উঠে না এলেও, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনেশন, বুস্টার ডোজের উপর পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করছে।
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের মতে, এই মুহূর্তে মাত্র জনসংখ্যার ১.৮ শতাংশ বুস্টার ডোজ পেয়েছে। এদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আগামী এক - দেড় মাসের মধ্যে সবাই প্রিকশনারি ডোজ না নিতে পারলে সমস্যা।
অতিমারী বিশেষজ্ঞদের একাংশ বিশ্বাস করেন, ভাইরাস দাপট বাড়ালেও, মারাত্মক আকার ধারণ নাও করতে পারে। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। তবে এখন দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই এখন ভাইরাস সেইভাবে ক্ষতি নাও করতে পারে।
AIIMS-এর সিনিয়র এপিডেমিওলজিস্ট ডক্টর সঞ্জয় রাই-এর উদ্ধৃতি দিয়ে একটি পিটিআই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। " গতবছর দেশ দ্বিতীয় ঢেউতে যেভাবে পর্যুদস্ত হয়েছিল, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এখন অনেকের মধ্যেই রোগের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। তার সঙ্গে টিকার কভারেজ রয়েছে। অতএব, ভবিষ্যতের কোনও তরঙ্গের মারাত্মক প্রভাবের সম্ভাবনা কম।"
মহামারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া, প্রায় একইরকম ভাবনার কথা বলেন। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের (NTAGI) কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর এন কে অরোরা বলেন, টিকা দেওয়া বেড়ে গিয়েছে। রোগের ব্যাপক বিস্তারও ঘটেছে। তাতে ভারতে এই মুহূর্তে মারাত্মক তরঙ্গের আঘাতের সম্ভাবনা কম।