কলকাতা: চা হোক বা পায়েস। অথবা ফ্রাইড রাইস। সব ধরনের খাবারেই দেখা মেলে এর। গন্ধ হোক বা স্বাদ বিভিন্ন কারণেই ব্যবহার হয়ে থাকে এলাচের। ভারতীয় উপমহাদেশের একাধিক রান্নায় ব্য়বহার করা হয় ছোট বড় নানা মাপের এলাচের (cardamom)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র স্বাদ বা গন্ধই নয়। একাধিক ওষধিগুণও রয়েছে এলাচের।


বিভিন্ন কারণে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কাজে লাগে এলাচ। ছোটখাট শারীরিক সমস্যায় সহজে সমাধান পেতে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ভরসা রাখেন অনেকে। মধু, দারচিনি বা জোয়ানের মতোই এলাচও তেমনই একটি উপাদান। বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায় এই মশলা। হাতের কাছেই থাকে রান্নার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই মশলা। চায়ের সঙ্গে প্রায়শই ব্যবহার করা হয় এলাচ। বিশেষ করে শীতকালে গলায় আরাম পেতে প্রায় সব ঘরেই তৈরি হয় এলাচ চা।    


আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে (ayurved) একাধিকবার কারণে এলাচের ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। হজমের (indigestion) সমস্যা, গ্যাসের রোগ কিংবা পেট ফুলে থাকার মতো একাধিক সমস্যায় এলাচের ব্যবহার করা যায়। শরীরে কফের সমস্য়া রোখার জন্য ব্যবহার করা হয় এলাচের। মুখশুদ্ধি হিসেবেও বহুল ব্য়বহার রয়েছে এলাচের দানার। উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমার মতো সমস্যাতেও কাজে লাগে এলাচ। এছাড়া আরও বেশ কিছু সমস্যার জন্য এলাচের ব্যবহার করা যায় বলে জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। বমির সমস্যা, গ্যাসট্রাইটিস (gastritis), গলা খুসখুস, পেটের কোনো সমস্যা, হজমের গন্ডগোল (indigestion), টানা হেঁচকি উঠলে (hiccups), প্রচণ্ড পিপাসা, ভার্টিগো (vertigo)--এই রকম নানা সমস্যায় ব্যবহার হয় এলাচ।  


কীভাবে ব্যবহার করা যায়?
প্রতিদিন চায়ের সঙ্গে খাওয়া যায়।
ঘিয়ের সঙ্গে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে ভাতের সঙ্গে খাওয়া যাবে।
মুখে এলাচ বা এলাচের দানা রেখে দিলেও কাজে লাগবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।