নয়াদিল্লি: প্রবল গরমের সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের।  ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার ও বুধবারের জন্য রাজধানীতে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সতর্কতা জারি করেছে ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট ( India Meteorological Department)। সোমবারই এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আরও একাধিক জায়গায় পারদ ঊর্ধ্বগামী হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।


তাপপ্রবাহ কী?  
ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট ( India Meteorological Department) জানাচ্ছে,  এটি এমন একটি অবস্থা যখন তাপমাত্রা মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। কোনও একটি সমভূমি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে অথবা পাহাড়ি এলাকার ক্ষেত্রে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়ে থাকে। অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে মোটামুটি ৫ ডিগ্রি বেশি থাকলে তাকে তাপপ্রবাহ বলেই ধরা হয়।  ভারতের ক্ষেত্রে সাধারণত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলে। 
     
কোথায় কোথায় হয়:
উত্তর ভারতের সমতল, মধ্য, পূর্ব ভারতেও তাপপ্রবাহ (Heat Wave) হয়ে থাকে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত এবং আরও কিছু রাজ্যে তাপপ্রবাহ হতে দেখা যায়। 


সচেতনতা প্রয়োজন:
ঠিকমতো সচেতন না হলে তাপপ্রবাহ প্রাণঘাতীও হতে পারে। অনেকসময় ভয়াবহভাবে অসুস্থও করে দেয়। কী কী উপসর্গ দেখা যায়?
খিঁচুনি (Cramps)--মাংসপেশিতে খিঁচুনি হতে পারে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
ভয়াবহ ক্লান্তি--দৌর্বল্য, ক্লান্তি, বমি ভাব এরকম একাধিক সমস্যা হয় তাপপ্রবাহের মধ্যে পড়লে। অত্যধিক ঘাম হওয়ায় শরীরে জলের জোগান কমে যায়।  
হিট স্ট্রোক (Heat Stroke)--এটা প্রাণঘাতীও হতে পারে। শরীরে তাপমাত্রা ভয়াবহ ভাবে বেড়ে যায় এই ক্ষেত্রে। কোমার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।


এড়ানো যাবে কীভাবে?
তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সময় ঘরের বাইরে বেরনো যাবে না। যতটা সম্ভব ছায়া ও কোনও শেডের নীচে থাকতে হবে। যতটা সম্ভব জল খেতে হবে, কোনওভাবেই শরীরে জলের পরিমাণ কমতে দেওয়া যাবে না। যতটা সম্ভব হালকা রঙের জামা পড়তে হবে। ছাতা ব্যবহার করতেই হবে। পরতে হবে রোদচশমাও। তাপপ্রবাহের সময় অত্যধিকপরিশ্রম হয় এমন কাজ করা যাবে না। বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। অত্যধিক গরমের সময় হাইপ্রোটিন কোনও খাবার না খেলেই ভাল হয়। খোলা জায়গায় গাড়ির মধ্যে পোষ্য বা বাচ্চাকে রাখবেন না। ঘন্টায় ঘন্টায় লেবু-নুনের সরবত বা ফল বা ওআরএস (ORS) খেতে হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।  


আরও পড়ুন: কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে অস্ত্র সচেতনতা