জেনিভা: ক্যানসার (cancer)। নামটা শুনলেই আশপাশটা কিছুক্ষণের জন্য যেন দুলে ওঠে। তবে ভয়ের আড়ালে রোগ বা রোগভোগ কোনওটাই ঠেকানো যায় না। বরং সঠিক চিকিৎসা ও তারও আগে ক্যানসার সম্পর্কে সঠিক তথ্য এই কঠিন লড়াইকে অনেকাংশে সহজ করে দিতে পারে, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিষয়টি সম্পর্কে অন্তত কিছুটা তথ্য জেনে রাখা জরুরি।
সার্ভাইক্যাল বা জরায়ুমুখ ক্যানসারের (cervical cancer) কথাই ধরা যাক। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা বিশ্বে মহিলাদের যত রকমের ক্যানসার হয় তার মধ্যে সংখ্যার বিচারে চতুর্থ পরিচিত এটি। আশার কথা, সময়মতো ধরা পড়লে এর নিরাময় সম্ভব। তবে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার যার অন্যতম সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বা এসটিআই (STI)। কেন? কারণ যৌন সংসর্গের মাধ্যমেই ছড়াতে পারে হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (human papillomaviruses) যার সঙ্গে প্রায় সব কটি জরায়ুমুখ ক্যানসারের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO)। অতএব এসটিআই নিয়ে সাবধান।
এসটিআই কী?
যদি যৌন সংসর্গের ফলে এক ব্যক্তির দেহ থেকে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস বা প্যারাসাইট অন্য জনের দেহে চলে যায় তখনই তাকে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বলে। সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদির মতো এসটিআই বা সংক্রমণের চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু হেপাটাইটিস বি, হারপিস সিম্পপ্লেক্স ভাইরাস, এইচআইভি এবং হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে তার কোনও নিরাময় নেই। 'হু'-র মতে, ৯৫ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যানসারের নেপথ্যে থাকে এই হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস। আর মার্কিন সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) জানাচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস এক জনের দেহ থেকে প্রত্যক্ষ সরাসরি যৌন সংসর্গের ফলে অন্য দেহে চলে আসে। যাঁদের একাধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে বা যাঁদের এমনিতেই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। ধূমপায়ীদেরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি, বলেন বিশেষজ্ঞরা।
কী ভাবে সতর্কতা?
এই ভাইরাল সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমাতে পারে প্রতিষেধক। আগেভাগে এইচপিভি-র টিকা নিলে ভাইরাল সংক্রমণ এবং সম্পর্কিত আরও কিছু রোগের আশঙ্কা কমে। তা ছাড়া নিয়মিত প্যাপস্মেয়ার পরীক্ষার নিদানও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এক্ষেত্রে নিরাপদ যৌন সংসর্গই সবচেয়ে জরুরি, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন:চাকরির টোপ দিয়ে ২৪ লক্ষ গ্রাস ! রিজওয়ানুরের দাদার বিরুদ্ধে অভিষেককে চিঠি