কলকাতা: করোনাকালে কার্যত বিপর্যস্ত জনজীবন। একদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়। অন্যদিকে কোভিড পরবর্তী বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা। যেন আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আরও একটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কোভিড-পরবর্তীকালে বহু মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকমের হৃদরোগের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। বুকে ব্যথা বা হার্ট অ্যাটাক ছাড়াও আরও বিভিন্ন হৃদরোগ দেখা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, ফুসফুসেও মারাত্মক ক্ষতি করছে করোনা ভাইরাস। কোভিডে আক্রান্ত হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যাঁদের মধ্যে কখনও হৃদরোগের কোনও লক্ষণ ছিল না, তাঁরাও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে মত তাঁদের।
এই সময়ে রোগীদের আরও বেশি সচেতন এবং নিজেদের জীবনযাত্রার প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসলে কোভিড পরবর্তী হৃদরোগের সম্ভাবনাকে খানিকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের মধ্যে বুকে ব্য়থা, হার্ট অ্যাটাক, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যা, স্ট্রোকের মতো হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বিশেষত এই ভাইরাসের কারণে আমাদের হৃদপিণ্ড অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে তাঁদের মত।
কোভিড পরবর্তী এই সমস্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে প্রতি ৬ মাস অন্তর অবশ্যই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বলে পরামর্শ তাঁদের।
এছাড়াও তাঁরা জানাচ্ছেন যে, হৃদপিণ্ডকে সচল এবং সুস্থ রাখতে কোভিড পরবর্তীকালে রোগীদের অবশ্যই খাবারের তালিকায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, খাবারে অত্যাধিক তেলের ব্যবহার না করা, প্যাকেটজাত খাবার ত্যাগ করা, কৃত্রিম মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়া কিংবা জাঙ্ক ফুড বর্জন করা, এই সমস্ত নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন।
পাশাপাশি তাঁরা আরও পরামর্শ দিচ্ছেন যে, কোভিড পরবর্তীকালে প্রতিদিন শরীরচর্চার পাশাপাশি ধূমপান এবং মদ্যপান অবশ্যই বর্জন করা প্রয়োজন। তবেই হৃদরোগে প্রতিরোধ করা সম্ভব।