কলকাতা: অনেককেই বলতে শোনা যায়, ঘুমের মধ্যে আচমকা ঝাঁকুনি (Hypnic Jerk) অনুভব হল। এবং পড়ে যাওয়ার মতো অনুভব হতেই ঘুম ভেঙে গেল। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভবের এমন সমস্যাকে অনেকেই গুরুত্ব সহকারে দেখেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকলে তা মারাত্মক হতে পারে। কিন্তু কেন এমন সমস্যা দেখা দেয় জানা আছে?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘুমের মধ্যে আচমকাই শরীরে ঝাঁকুনি অনুভবের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। কিন্তু তাঁরা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, ঘুমিয়ে পড়ার পরও মস্তিষ্কের এমন কোনও অংশ আচমকাই কাজ করতে শুরু করে, যার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আচমকাই শরীরে ঝাঁকুনি দিলে মস্তিষ্ক ফের সজাগ হয়ে ওঠে। ঘুম ভেঙে যায়।


২. বিভিন্ন তথ্যে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে চা, কফি খেলে ধূমপান করলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কফি আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমতে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা আগেও যদি কোনও ব্যক্তি কফি খান, তাহলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, ঘুমতে যাওয়ার আগে কফি খেলে ঘুমের সমস্যাও দেখা দেয়। অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও ঘুমতে যাওয়ার সময় বা আগে অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপানের ফলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।


আরও পড়ুন - Snakebite First Aid: সাপে কামড়ালে কী করবেন কী করবেন না?


৩. নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটা তো আমরা সকলেই জানি। কিন্তু এটা কি জাননে, সন্ধের পরে বা রাতের দিকে শরীরচর্চা করলে ঘুমনোর সময় শরীরে ঝাঁকুনির সমস্যা দেখা দিতে পারে? এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৪. অত্যধিক স্ট্রেস এবং উদ্বেগের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৫. যাঁদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে, সঠিকভাবে নিয়মিত ঘুম হয় না, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা মারাত্মকভাবে দেখা দিতে পারে। 


ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভবের সমস্যা ফলে যদি কোনওভাবে ব্যক্তির শরীরে আঘাত লাগে, তাহলে তা মারাত্মক হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। 


এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন নিয়ম মেনে সকালে ওঠা এবং ঘুমতে যাওয়ার অভ্যাস রাখতে হবে। এছাড়াও, লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ঘুমনোর সময়ে ঘর যতটা সম্ভব অন্ধকার করে রাখলে ঘুম ভালো হয় বল মত তাঁদের।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।