কলকাতা: সারা বিশ্বে রোজ কোথাও না কোথাও কাউকে না কাউকে সাপে কামড়াচ্ছে (Snake Bite)। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হেলথ ওর্গানাইজেশনের (WHO) পক্ষ থেকে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে গড়ে প্রায় ৮১ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে প্রাণ হারান। খবরের কাগজের পাতায় চোখ রাখলেও নানা জায়গায় সাপের কামড়ে মৃত্যু নানা খবর চোখে পড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সাপের কামড়ের পর সঠিক চিকিৎসা না করে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার ফলেও বহু প্রাণহানী হয়। তাই সাপ কামড়ালে কী কী করবেন আর কী কী করবেন না, সেগুলো জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাপের কামড়ের পর আমাদের শরীরে দু ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। কেউটে জাতীয় সাপ যদি কামড়ায়, তাহলে তার বিষ আমাদের স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। বিষক্রিয়ার মাধ্যে আমাদের স্নায়ুর অকেজো হতে শুরু করে। আবার কোনও কোনও সাপের কামড়ে রক্তে বিষক্রিয়া ছড়াতে শুরু করে।


১. বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করা দরকার। যাতে সঠিক সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।


২. সাপের কামড়ের ঘটনায় রোগীকে একেবারেই ফেলে রাখা উচিৎ নয়। এতে বিষক্রিয়া সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


৩. আক্রান্ত ব্যক্তির বেল্ট, গয়না, ঘড়ি, আংটি প্রভৃতি সঙ্গে সঙ্গে খুলে দেওয়া প্রয়োজন। 


৪. অ্যাম্বুলেন্স আসতে যদি দেরি করে, তাহলে আশেপাশের যেকোনও গাড়িতে করে কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে রোগীকে।


৫. বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগীকে বাম দিক ফিরিয়ে শুইয়ে রাখা বা নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। রোগী যেন অবশ্যই বাম দিক ফিরে শুয়ে থাকেন, তাঁর ডান পা ভাঁজ করা থাকতে হবে, হাত মুখের কাছে থাকবে। 


৬. সাপে কামড়ালে একেবারেই প্যানিক করা উচিৎ নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থতা সম্ভব। তাই চিৎকার চেঁচামেচি বা উদ্বিগ্ন না হয়ে আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার।


৭. সাপটিকে কোনওভাবেই ধরা কিংবা মেরে ফেলা উচিৎ নয়।


৮. সাপের কামড়ের জায়গাটি কাটা কিংবা মুখ দিয়ে শুষে নেওয়া উচিৎ নয়।


৯. সাপের কামড়ের জায়গাটি একেবারেই শক্ত করে বাঁধবেন না। ওই জায়গায় বরফ ঘষা দরকার।


১০. একেবারেই কোনও ঝাড়ফুঁক বা ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া সঠিক নয়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।