জেনেভা: জোরে গান চালিয়ে শোনেন? পার্টি বা অনুষ্ঠানে প্রায়শই জোরে গান বাজে? তেমনটা হলে এখনই সাবধান হোন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে খুব জোরে গান শুনলে বা জোরে আওয়াজ হচ্ছে এমন কোনও কিছুর সামনে থাকলে শ্রবণক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণেই বিশ্বজুড়ে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী এক বিলিয়ন বাসিন্দার শ্রবণক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


প্রতিবছর তেসরা মার্চ বিশ্ব শ্রবণক্ষমতা দিবস পালন করা হয়। এই দিনটায় শ্রবণক্ষমতা নিয়ে নানা সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হয়। এই বছরের থিম ছিল, 'টু হিয়ার ফর লাইফ, লিসেন উইথ কেয়ার'  (to hear for life, listen with care)


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ডক্টর বেনটে মিকেলসেন (Dr. Bente Mikkelsen) জানিয়েছেন, ইয়ারফোন বা হেডফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য কিশোর এবং কমবয়সীরা বিপদের মধ্যে রয়েছেন। নাইটক্লাব, রেস্তরাঁ, পানশানা বা কনসার্টে জোরে গান বাজানো হয়। সেই কারণেই এই বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডক্টর বেনটে মিকেলসেন। তিনি আরও বলেন, 'অধিকাংশ অডিও ডিভাইসে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের আওয়াজের মাত্রার প্রতি খেয়াল রাখা হয় না।' একবার শ্রবণক্ষমতা চলে গেলে তা আর ফেরানো সম্ভব না। তবে সমস্যার কথা শোনালেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশ্বাস, এই সমস্যা রোখা সম্ভব। গান শোনার সময় বা ভিডিও গেম খেলার সময় আওয়াজ আস্তে করতে হবে। খুব জোরে আওয়াজ হচ্ছে এমন এলাকায় গেলে ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


এর সঙ্গেই যে কোনও অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতা বেঁধে দেওয়ার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মাপকাঠিও বেঁধে দিয়েছে হু (who)। সবচেয়ে বেশি ১০০ ডেসিবেল পর্যন্ত যেতে পারে অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতা। অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতায় নজরদারি রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।


এই উদ্য়োগে পাশে থাকতে হবে সরকার, নাগরিক সমাজকেও। যারা অডিও ডিভাইস বানান, ভিডিও গেমের যন্ত্র তৈরি করেন তাদেরও বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডক্টর রেন মিংঘুই (Dr. Ren Minghui)। 


আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার হলে হতে পারে সিরোসিস অফ লিভারও ! কী খাবেন, কী খাবেন না