ফের ভারতে বার্ড ফ্লুয়ের (bird flu) আতঙ্ক। এবার মহারাষ্ট্রে। সম্প্রতি সে রাজ্যের নানা জায়গায় বার্ড ফ্লু ভাইরাস বা এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) ভাইরাস সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। তার জেরেই ফের বাড়ছে উদ্বেগ। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলেই জানানো হয়েছ সেই রাজ্যের তরফে। 


ভারতে এই সমস্যা নতুন নয়। ২০০৬ সালে মহারাষ্ট্রেই  (maharastra) প্রথম এই সংক্রমণের খোঁজ মেলে। তারপর থেকে প্রায় প্রতিবছরই এ দেশে খোঁজ মিলেছে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের। এই বছরেই বিহার (bihar) থেকেও সংক্রমণের খবর মিলেছে। তবে কোনওটাই এখনও মহামারির আকার নেয়নি। পশ্চিমবঙ্গেও মিলেছিল বার্ড ফ্লুর। ২০০৮, ২০১১ সালে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা থেকে সংক্রমণের খবর মিলেছিল।


চিন্তা কতটা?
যদিও বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলেই বারবার জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। পাখির থেকে মানব শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (infection) ঘটনা ঘটবে কিনা তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। এমন ঘটনা যে একেবারে ঘটেনি তা নয়। কিন্তু, সংখ্যার বিচারে তা অত্যন্ত কম।


যেখানে প্রশ্ন
অনেক বাড়িতেই হাঁস-মুরগি থাকে। অনেকের আবার খামারের ব্যবসা রয়েছে। কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন? কী কী করবেন? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরছে। নিশ্চিন্ত থাকুন। সামান্য কিছু পদক্ষেপ করলেই চলবে। পোষা হাঁস-মুরগি বা অন্য পাখি ধরলে মনে করে সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। শরীরের অন্য উন্মুক্ত স্থানও সাবান দিয়ে ধোবেন। চাষের ক্ষেত্রে পশুপালন বিশেষজ্ঞ বা পশু চিকিৎসকদের বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন। 


পাতে থাকবে মুরগির মাংস, ডিম?
নিশ্চিন্তে খেতে পারেন মুরগির মাংস ও ডিম। তবে অবশ্যই বেশ কিছু নিয়ম মেনে। বলছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (who)। ঠিকমতো রান্না করা মুরগির মাংস বা ডিম থেকে সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তথ্য বলছে, ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেরোলে ভাইরাস নষ্ট হয়ে যায়। এই সময়টা কোনওভাবেই কাঁচা ডিম খাবেন না। বিশেষ করে ডিমের কুসুম ভাল করে সেদ্ধ করে তবেই খাবেন। 


আরও পড়ুন: দেখুন-কী এই ভাইরাস, উপসর্গ ও সতর্কতাআরও পড়ুন: দেখুন-কী এই ভাইরাস, উপসর্গ ও সতর্কতা