নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীতে প্রাণ বাঁচাতে বাড়াতেই হবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর সে জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছে ভারতের আয়ূষ মন্ত্রক।


মন্ত্রকের মতে, ইমিউনিটি বাড়াতে সকালে খেতে হবে ১০ গ্রামের মতো চবনপ্রাশ, নানা মশলা আর গোল্ডেন মিল্ক দিয়ে তৈরি হার্বাল টি। পাশাপাশি "গোল্ডেন মিল্ক", যোগব্যায়াম, ধ্যান, পুলিঙ্গায়ূষ কথ তেল- এগুলির সাহায্যে অনেক গুণ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।


কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করার জন্য টিকা নির্মিত হতে এখনও অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এই মুহূর্তে তাই বাঁচার একমাত্র হাতিয়ার শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া।


ভাইরাস, টক্সিন বা ব্যাকটেরিয়া ঠেকাতে তাই আয়ুর্বেদ, যোগাসন, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথির গুরুত্ব রয়েছে বলে দাবি মন্ত্রকের। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে তিনিটি জিনিসকে জীবনশৈলীর অঙ্গ করতে হবে বলে ঘোষণা করেছে মন্ত্রক।


একটি টুইটে যে তিনটি প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি হল- সারাদিনে নানা সময়ে গরম জল পান করা, প্রাণায়ম, যোগাসন ও ধ্যানে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যয় করা এবং হলুদ, রসুন, ধনে প্রভৃতি উপকরণ খাদ্যতালিকায় রাখা। এগুলি সবই ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কার্যকর।


মন্ত্রকের মতে, চবনপ্রাশ খাওয়ার পাশাপাশি যদি কিসমিস ও গুড় সহযোগে গোল্ডেন টি (হলুদ ও মশলা দেওয়া দুধ) পান করা যায়, তাহলে শরীররের যুঝবার ক্ষমতা বাড়বে।


নাকে দিতে হবে তিল বা নারকেল তেল। তাজা পুদিনা পাতা ও জোয়ান গরম জলে ফেলে স্টিম নেওয়া এবং লবঙ্গ গুঁড়ো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার উপশম করবে।


এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলির শক্তির বিষয়ে বরাবরই সচেতন করার চেষ্টা করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। কিছুদিন আগে সব রাজ্যগুলির কাছে তারা পৌঁছে দিয়েছে হার্বাল ড্রিঙ্কের রেসিপি।


"আয়ূষ কথ" নামক এই তত্ত্বে রয়েছে তুলসী, গোলমরিচ, শুকনো আদা ও দারচিনির মিশ্রণ। এই কোভিড পরিস্থিতিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর রেডিও প্রোগ্রাম "মন কি বাত"-এ বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছেন আয়ূষের এই পরামর্শের উপর।