কলকাতা: বর্ষার সঙ্গে বাড়তে থাকে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও। মশা থেকে যে রোগগুলি ছড়ায় তার মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ ডেঙ্গি। মূলত শহরাঞ্চলে বা শহর লাগোয়া এলাকায় এর বেশি দাপট দেখা যায়। ডেঙ্গি ঠেকাতে প্রয়োজন সচেতনতা। ঠেকাতে হয় মশার বংশবৃদ্ধিও। বছরভর সচেতনতা ছড়াতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। তার পরেও মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দেয় ডেঙ্গির (Dengue)  প্রকোপ। ডেঙ্গি আক্রান্তদের অত্যন্ত সাবধানে থাকতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় খাবারের উপরে। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য কী কী রাখতে হবে পাতে?


কমলালেবুর রস:
ডেঙ্গি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কমলালেবু (orange)। কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি (vitamin C) থাকে। ডেঙ্গি আক্রান্তের জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করায় কমলা। 


ডালিম:
ডেঙ্গি আক্রান্তদের ভিটামিন (Vitamin) সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। তার জন্য ভরসা করা যায় ডালিমের (Pomegranate) উপর। এই ফলে একাধিক পোষকপদার্থ থাকে। একাধিক খনিজও রয়েছে ডালিমে। যা ডেঙ্গি আক্রান্তকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। অ্যানিমিয়া কমাতেও উপকারী ডালিম। রোগীর দুর্বলতা এবং ক্লান্তি কমায় ডালিম।


কিউই:
ডেঙ্গি আক্রান্তের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই ফল। ডেঙ্গি আক্রান্তদের শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। কিউই (Kiwi) শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লোহিত রক্তকণিতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে শরীরে। 


ডাবের জল:
শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ ও পুষ্টিপদার্থ পৌঁছনোর জন্য ডাবের জলের (coconut water) উপর ভরসা করা যায়। ডেঙ্গি আক্রান্তদের শরীরে জলের ঘাটতি রুখতে ডাবের জল সাহায্য করে। প্রাকৃতিক ওআরএস-এর মতো কাজ করে এটি।        


হলুদ:
হলুদে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট (Anti Oxidant) থাকে। যা প্রদাহ রুখতে সাহায্য করে। ডেঙ্গি আক্রান্তকে দুধে হলুদ মিশিয়ে দেওয়া যায়। জ্বরের প্রকোপ কমাতে, শরীরে শক্তি দিতে সাহায্য করবে হলুদ। এছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে শাকসব্জি রাখতে হবে রোগীর ডায়েটে। 


ডেঙ্গি রোগীদের জন্য বেশ কিছু খাবার বন্ধ করতে হয়। সেগুলি কী কী?


অতিরিক্ত তেল-মশলা:
ডেঙ্গি আক্রান্তদের অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া চলবে না।


কমবে ক্যাফেইন: 
চা-কফি বন্ধ করতে হবে। কফি (Coffee) হার্টরেট বৃদ্ধি করে। শরীরে জলের ঘাটতিও করাতে পারে।   


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: গরমে ব্রনর সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া টোটকা