নয়াদিল্লি: প্রত্যেক বছর জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস পালিত হয়। ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের স্মরণে প্রতি বছর ২ ডিসেম্বর এই দিনটি পালন করা হয়। বায়ু দূষণের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিন পালন। দুঃখের বিষয় গোটা পৃথিবীতে প্রত্যেক ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই বিশুদ্ধ বায়ু জোটে না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, ফুসফুস ক্যান্সার, মস্তিষ্ক ও কিডনির সমস্যা এবং সর্বোপরি হৃদপিণ্ডের দীর্ঘকালীন সমস্যার সম্মুখীন হন।
বছরের শীতকালীন সময়ে ভারতের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে মারাত্মক দূষণের কবলে থাকে। যা সাধারণ মানুষের তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য বা কর্মস্থলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সকালে বা সন্ধ্যায় বের হওয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। যদিও ভারতে বায়ু দূষণের সমস্যা মোকাবিলার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করা প্রয়োজন। একই সময়ে দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের জীবনযাপনেও পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Kitchen Hacks: শীতকাল এসে গিয়েছে, খুব সহজে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন জিভে জল আনা আচার
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, ভিটামিন - সি সমৃদ্ধ খাবার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকী দেহে বায়ু দূষণ জনিত সমস্যাও আটকায়। কমলালেবু, স্ট্রবেরী, আপেল, তরমুজ ইত্যাদিতে ভিটামিন - সি থাকে প্রবল পরিমাণে। পার্সলে, ব্রকোলি, পালং শাক, ফুলকপি ইত্যাদি সবজিতেও ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে।
অলিভ অয়েল, সূর্যমুখীর বীজ, আমন্ড, অ্যাভোকাডো ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন - ই থাকে যা বায়ু দূষণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। বিভিন্ন গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে ওমেগা-ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার বায়ু দূষণের কারণে প্রদাহ এবং এমনকী অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে। আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ এবং স্যামন মাছ খাওয়ারও পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।
এছাড়া গাজর, রাঙা আলু, অ্যাপ্রিকট অত্যাবশ্যক ভিটামিন এ-তে ভরপুর। ডাক্তারদের মতে শরীরকে বায়ু দূষণ থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই খাবারগুলো।