কলকাতা: রোগের সঙ্গে লড়াই করতে প্রয়োজন টিকা। বিশ্বে বিভিন্ন রকম রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য একাধিক টিকা রয়েছে। টিকাকরণের উপর ভিত্তি করেই লাগামে এসেছে বহু রোগ। টিকাকরণের এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই একটি বিশেষ দিন ধার্য করা হচ্ছে। আজ ১৬ মার্চ জাতীয় টিকাকরণ দিবস (national vaccination day)। 





 


উন্নত জনস্বাস্থ্যের (public health) জন্য প্রয়োজন টিকার বর্ম। জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘদিন টিকাকরণেই জন্যই ভারত এখন পোলিওমুক্ত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু পোলিও নয়, আরও একাধিক রোগের থেকে বাঁচানোর জন্যও দেওয়া হয় টিকা। শিশুর জন্মের পরই বিভিন্ন সংক্রমণ রুখতে দেওয়া হয় টিকা। বৃদ্ধদের জন্যও রয়েছে একাধিক টিকা।   


কবে থেকে শুরু
১৬ মার্চ দিনটির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ১৯৯৫ সালে এই দিনটিতেই ভারতে প্রথম ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে টানা চলেছে পোলিও টিকা কর্মসূচি। এই লড়াইয়ের জন্য ভারতকে পোলিও মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ভারতকে পোলিও ফ্রি নেশনের তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতীয় টিকাকরণ দিবসে পালস পোলিও প্রোগ্রামও পালিন করা হয়। 


এই বছরের থিম
প্রতিবছর এই দিনটির জন্য আলাদা আলাদা থিম বেছে নেওয়া হয়। ২০২২ সালে জাতীয় টিকাকরণ দিবসের থিম হল vaccines for all. টিকাকরণের গুরুত্ব এবং প্রাণঘাতী রোগের থেকে কীভাবে সুরক্ষা দেয় টিকাকরণ সবকিছু নিয়েই চলবে সচেতনতা। 


গুরুত্ব কোথায়?
টিকার বর্ম কীভাবে বাঁচাতে পারে প্রাণঘাতী রোগ থেকে? জাতীয় টিকাকরণ দিবসে তা নিয়েই সচেতন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে কোভিড টিকাকরণের ফলে বিশ্বে অন্তত ২ থেকে ৩ মিলিয়ন প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।  ফলে শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্যই টিকাকরণ প্রয়োজনীয়। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস নেই? তবুও নজর থাকুক ব্লাড সুগারে