কলকাতা: শেষপাতে মিষ্টি (Sweets) খেতে কে না ভালোবাসে। যেকোনও বয়সের মানুষই খাবারের শেষে একটু মিষ্টি ফেতে পছন্দ করেন। আর যাঁরা মিষ্টি খেতে এমনিতেই পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে তো পছন্দের মিষ্টি শেষপাতে পেলে আর কথাই নেই। উৎসবের মরশুম চলুক বা না চলুক, মিষ্টি সারা বছরই খাওয়া যায়। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ, যাঁদের মধুমেহ রোগ রয়েছে, তাঁদের জন্য যেমন মিষ্টি খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তেমনই প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অত্যধিক মিষ্টি স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য যেকোনও মিষ্টির তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর মিষ্টি দই (Mishti Doi)। এর কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি দইতে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করা হয়। আর গুড় নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আমাদের দেশে বহু বাড়িতে আজও উৎসবের দিনে মিষ্টি হিসেবে মিষ্টি দই খাওয়া হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাঁরা জেনে হোক কিংবা না জেনেই হোক, পাতে মিষ্টি দই থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী অন্য যেকোনও মিষ্টির তুলনায়।


আরও পড়ুন - Dengue Alert: কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন ডেঙ্গি হয়েছে? কীভাবেই বা চিকিৎসা করবেন?


পুষ্টিবিদদের মতে, দইয়ের উপকারিতা এমনিতেই অনেক। মিষ্টি দই যেমন সুস্বাদু, তেমনই ,স্বাস্থ্যকরও বটে। হজমের উপকারী মিষ্টি দই (Mishti Doi Health Benefits) পেটের জন্য খুব ভালো। এছাড়াও এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দুধ ফুটিয়ে ঘন করে তাতে গুড় মিশিয়ে সারারাত ধরে জমিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি দই। ফলে এতে ক্ষতিকর কোনও উপাদান নেই। বাড়িতে হোক কিংবা অনুষ্ঠানে। পাতে যদি মিষ্টি দই থাকে, তাহলে তা যেমন জিভের স্বাদ মেটায়, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। শুধু বাঙালিদের ঘরে ঘরেই নয়, আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিষ্টি দই খাওয়ার যথেষ্ট প্রচলন রয়েছে।