কলকাতা : ওমিক্রন সংক্রমণের ঝুঁকি বিচার করে আরও দুটি দেশকে হাই রিস্ক তালিকায় রাখা হল। ওই দুটি দেশ হল বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি দেশকে হাই রিস্ক তালিকায় রাখা হয়েছে।  


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, তালিকায় থাকা দেশ থেকে কেউ ভারতে এলেই বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে ভর্তি করা হবে হাসপাতালে।  নমুনা পাঠানো হবে জিন বিশ্লেষণের জন্য।  রিপোর্ট নেগেটিভ এলে সাতদিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।  ৭ দিন পর ফের কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।  তারপর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বেরনো যাবে।   
 
হাই রিস্ক তালিকার বাইরের দেশগুলি থেকে যাঁরা ভারতে আসবেন,  তাঁদের মধ্যে ৫ শতাংশের র‍্যান্ডম  করোনা পরীক্ষা করানো হবে।   

আরও পড়ুন :


ওমিক্রন আতঙ্ক রাজ্যেও, দ্বিতীয় ডোজ নিল না দেড় লক্ষের বেশি মানুষ


কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজোড়া সতর্কতার মধ্যেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড ১৯ টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান এন কে অরোরা জানান, বুস্টার ডোজ নিয়ে নীতি কী হবে, কাদের বুস্টার ডোজ প্রয়োজন, তা কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে।  তিনি জানান, ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতার কারণে বিভিন্ন দেশ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।  ভারত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। 


সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিনেশন নিয়েও বিস্তারিত পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।  দেশে ১৮ বছরের কম বয়েসির সংখ্যা ৪৪ কোটি।    


 


কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজোড়া উদ্বেগের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না আশার কথা শোনাল। ওই সংস্থার দাবি, জরুরি প্রয়োজনে  আগামী বছরের গোড়াতেই ওমিক্রনের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারবে তারা।  ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৬টি দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে।