ঝিলম করঞ্জাই, সন্দীপ সরকার , কলকাতা : এ যেন যেতে গিয়েও না যাওয়া। ভারতে যখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে, তখনই বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’। ডেল্টার থেকেও যা শক্তিশালী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এর থেকে রেহাই পেতে গেলে কি করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় অর্থাৎ বুস্টার ডোজ প্রয়োজন? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে আমেরিকা-সহ ৩৬টি দেশে, করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু, ভারতে কি বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে? সম্প্রতি Indian Council of Medical Research বা ICMR-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে প্রমাণ মেলেনি। তাই এখনই দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা নেই।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড-19 টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান এন কে আরোরা জানিয়েছেন, দু-সপ্তাহের মধ্যেই বুস্টার ডোজ নিয়ে কী নীতি নেওয়া হচ্ছে তা ঘোষণা করা হবে। তিনি জানান, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত নীতি আনছে। কার ভ্যাকসিন, কখন এবং কীভাবে লাগবে তা নিয়ে নীতিটি মোকাবেলা করবে
প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার নিরিখে এখনও পর্যন্ত ভারতে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ পেয়েছে মাত্র ৪৮ শতাংশ নাগরিক। সেক্ষেত্রে ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করলেও, ভারতে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেওয়া এখন কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এছাড়া আরও চিন্তার বিষয় হল ভারতে এখনও পর্যন্ত ১৮ বছর বয়সীদের নিচে ভ্যাকসিনেশন শুরুই হয়নি! ভারতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য আপত্কালীন ব্যবহারে কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেয়েছে জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি ভ্যাকসিন ‘জাইকভ ডি’। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যে প্রস্তুতকারক সংস্থাকে এক কোটি ডোজের বরাত দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি এই ভ্যাকসিন বাজারে কবে আসবে তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি! তবে সূত্রের খবর, ডিসেম্বর বা সামনের বছরের জানুয়ারি মাসে এই ভ্যাকসিন আসতে পারে। করোনার ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।