Preeclampsia : সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ৪০ টি সপ্তাহ  মা ও গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকুন, এই দিকে আগাগোড়া নজর রাখেন চিকিৎসকরা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সেই সংক্রান্তই বড় একটি সমস্যা হল প্রি এক্লাম্পসিয়া।  একধরনের গর্ভধারণকালীন জটিলতা এটি। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় ব্লাড প্রেসারের সমস্যা কীভাবে মা ও শিশুর ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। 


Preeclampsia - র লক্ষণ সচরাচর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে শুরু  হয়। এক্ষেত্রে প্রস্রাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রোটিন বৃদ্ধি হতে দেখা যায়।  গর্ভধারণের পর ২০ সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর কতগুলি বিষয়ে নজর রাখা আবশ্যক।  গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর যদি কারও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন নিঃসরণ হয়, তখনই প্রি-এক্লাম্পসিয়া র রোগী বলা হয়ে থাকে। Preeclampsia ডেলিভারির পরও ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে পোস্টপ্যাটার্ম প্রি এক্লাম্পসিয়া বলা হয়ে থাকে। 


প্রি এক্লাম্পসিয়ার লক্ষণ :



  • গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর  উচ্চ রক্তচাপ

  •  প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন (প্রোটিনুরিয়া) বা কিডনির সমস্যার অন্যান্য লক্ষণ

  • রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমে যাওয়া (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া)

  • বর্ধিত লিভার এনজাইম যা লিভারের সমস্যা নির্দেশ করে

  • তীব্র মাথাব্যথা

  • দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন, দৃষ্টিশক্তির সাময়িক ক্ষতি, ঝাপসা দৃষ্টি বা আলোর সংবেদনশীলতা 

  • পেটে উপরের দিকে ব্যথা, সাধারণত ডান পাশের পাঁজরের নিচে।

  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া

    ঝুঁকি বেশি কাদের 
    প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার উচ্চ ঝুঁকির সাথে যুক্ত শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে:




  • পূর্ববর্তী গর্ভাবস্থায় প্রিক্ল্যাম্পসিয়া




  • একাধিক সন্তান গর্ভে ধারণ করা




  • দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপ (উচ্চ রক্তচাপ)




  • গর্ভাবস্থার আগে টাইপ 1 বা টাইপ 2 ডায়াবেটিস




  • কিডনীর ব্যাধি




  • অটোইমিউন ব্যাধি




  • ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ব্যবহার




  • স্থূলতা




  • প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার পারিবারিক ইতিহাস




  • মাতৃ বয়স 35 বা তার বেশি




  • পূর্ববর্তী গর্ভাবস্থায় জটিলতা



  • কোন পরীক্ষায় ধরা পড়ে এই রোগ ? 

     প্রি-এক্লাম্পসিয়া নির্ণয় করতে

  •  ব্লাড প্রেসার মনিটর করা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে মেনটেইন করতে হবে চার্ট।

  • মূত্রে প্রোটিনের উপস্থিতি টেস্ট করা হয়ে থাকে। 

     যদি ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয়, এর ফলে

  •  খিঁচুনি দেখা যেতে পারে

  • হতে পারে প্রাণ সংশয়ও । 

  • গর্ভস্থ শিশু ঠিকঠাক বাড়ে না 

  • শিশু যে জলীয় পদার্থে ভেসে থাকে তা শুকিয়ে যেতে পারে । 

    ঠিক সময় চিকিৎসা না হলে, গর্ভের শিশুর ক্ষতি এড়ানো কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে প্রি-টার্ম ডেলিভারিও করাতে হতে পারে।