• Having a Healthy Pregnancy in Your 30s : হায়ার স্টাডিজ শেষ করে চাকরি শুরু করতেই ২৫ পেরিয়ে গিয়েছে কঙ্কণার। তারপর একটু স্টেবল হতেই ৩০। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে সবে। কিন্তু পরিবারের থেকে ক্রমাগত চাপ আসছে, বিয়ের পরপরই সন্তান নিয়ে নিতে। নইলে নাকি বড় সমস্যা । সত্যিই কি তাই ? ৩০ পরবর্তী গর্ভধারণ মানেই কি জটিলতা ? ঠিক কতদিন অপেক্ষা করা যেতে পারে স্বাভাবিক ভাবে মা হওয়ার জন্য ? আলোচনায় স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অরুণা তাঁতিয়া ( Dr. Aruna Tantia ) । 

  • ৩০ এর পর মাতৃত্ব :

  • ডা. তাঁতিয়া জানালেন, যদি কোনও মহিলা ৩০ বছর বয়সেও সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন, কোনও সমস্যা না থাকে, চকোলেট সিস্টের সমস্যা না থাকে তাহলে অপেক্ষা করা যেতেই পারে আরও কয়েক বছর নিশ্চিন্তে। অপেক্ষা করা যেতে পারে ৩৫ বছর বয়স অবধি। শুধু  পরীক্ষা  করে নিতে হবে Anti-Müllerian Hormone Test । এই পরীক্ষাই দেখে নেয়, মহিলার গর্ভাশয়ে কত ডিম্বাণু অবশিষ্ট আছে। যদি সেই অবশিষ্ট থাকা ডিম্বাণু কমে যায়, তাহলে অপেক্ষা না করাই  ভাল।

  • পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা ? বিশেষত পিরিয়ডস চলাকালীন ? তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সময় থাকতে। 

  • এন্ডোমেট্রিওসিসের (Endometriosis  ) সমস্যা থাকলে সতর্ক হোন ।  অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সেই সঙ্গে তলপেটে অসহ্য ব্যথা করতে থাকে।  রক্তক্ষরণের হয়।

  • ওভারির ভিতরে মেনস্ট্রুয়েশনের রক্ত জমে যে সিস্ট তৈরি হয় তাকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘চকোলেট সিস্ট’ও বলে। 

  • অবহেলার ফলে অনেক সময় ডিম্বাশয়ে ও জরায়ুতে এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে টিউমারও হতে পারে। সেক্ষেত্রে জটিলতা বাড়ে।

  • এন্ডোমেট্রিওসিস এক ধরনের অসুখ যা অনেক সময় সারিয়ে তুলতে বেশ সময় লেগে যায়। এর জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত চেক আপ  প্রয়োজন। , এই রোগ হলে মেনস্ট্রুয়াল প্যাটার্নে পরিবর্তন হয়।

  • প্রতি মাসে যদি ঋতুস্রাব বা মেনস্টুয়েশনের সময় তলপেটে অসহ্য যন্ত্রনা হয়,তাহলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতে হবে।  

  • চকোলেট সিস্টের সমস্যা থাকলে সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসা করে দেখতে হবে ওষুধে কমে কি না। যদি তাতে না কমে, তাহলে চকোলেট সিস্টের অপারেশন করিয়ে নিতে হবে। তারপর গর্ভধারণ করতে হবে। 

  • এছাড়াও হাই ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার , ফ্যাটি লিভার, ওবেসিটি বা আরও অনেক সমস্যা থাকে, যা প্রেগনেন্সি নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাবতে হবে। 

  • যে বয়সেই প্রেগনেন্সি প্ল্যান করুন না কেন, আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললে ভাল। 

  • সেই সঙ্গে আপনার পার্টনারও একবার চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে । কারণ গর্ভধারণ তো শুধু মেয়েদের উপরই নির্ভর করে না। 

  • ৩০ এর আগে যদি একবার মা হয়ে গিয়ে থাকেন, তবে পরবর্তী প্রেগন্যান্সি তারপর হতেই পারে। তবে দুই সন্তানের মাঝে দীর্ঘ অন্তর না হওয়াই ভাল।