কলকাতা :  পুজো আসছে। 'ভাল্লাগেনা পুজোর সময় পাঠশালার ওই পাঠ ... মন বসে কি আর?' সত্যিই তো, এই সময়টা তো বাঁধনছাড়া আনন্দের ! বিশেষত শিশুদের। কিন্তু করোনা আবহে বদলে গেছে ছবিটা। ২০২০ থেকে বাচ্চারা কার্যত ঘরবন্দি। তৃতীয় ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।  তা সত্ত্বেও তৃতীয়া থেকেই পুজোর ভিড়ে দেখা গেছে অনেক কচিকাঁচাদের। কিন্তু তাদের জন্য কি পুজোয় মাস্ক পরে বেরলেই নিরাপদ ?
বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট অনুসারে মিজোরাম ও ওড়িশায় ২৬৩ জন ও ৮৩ জন শিশু আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। সূত্র বলছে, ওড়িশায় শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে।  শিশুদের করোনা টিকা এখনও বাজারে আসেনি। কবে আসবে, তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে যদি শিশুরা পুজোয় একটু লাগামছাড়া হয়, তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদ ধেয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। 


পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। মহালয়া পেরোতেই সরকারি রিপোর্টে উঠে এল সেই তথ্য। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পয়লা অক্টোবরের মধ্যে করা রাজ্য সরকারের সেন্টিনেল সার্ভেল্যান্স অনুযায়ী, ৪ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেশি। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে সতর্ক করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা ICMR। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে। রাজ্য়ের সেন্টিনেল সার্ভেতে চার জেলায় সংক্রমণের হার যথেষ্ট বেশি। সেকারণে চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন। তাঁরা বলছেন পুজোয় সতর্ক করতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের বাঁচানোর কতা। দুর্গাপুজো সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট হতেই পারে।


চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলছেন, 'এই করোনা আবহে যে পুজো আসছে, প্রথমবার পুজোয় বলেছিলাম প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্কদের বাঁচাতে হবে। এবার বলছি শিশু কিশোরদের বাঁচাতে হবে। কারণ তাদের টিকা হয়নি। সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট হতে পারে, সেটা মাথায় রাখতে হবে'


চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানালেন, ' পুজো আসছে। শিথিলতা নজরে পড়ছে। মাস্ক, দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে না। এসব না মানলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। প্রশাসনকে সতর্ক থাকা দরকার। তা নিয়ে পদক্ষেপ করা দরকার।'