কলকাতা : আর.এস.ভি .... ভাইরাসের পুরো নাম Respiratory Syncytial Virus (RSV) in Children । করোনার মাঝেই এই ভাইরাসের দাপটে ত্রস্ত বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, একের পর এক শিশু কাবু হচ্ছে ভাইরাসের দাপটে। ঘটছে মৃত্যুও। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের যে জ্বর হচ্ছে, তার ২০ শতাংশই RS ভাইরাসের কারণে। ঠিক কী কী লক্ষণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ?
- নাক দিয়ে জল ঝরা (Runny nose)
- জ্বর (Fever )
- সর্দি (Cough)
- শ্বাস নিতে না-পারা (Short periods without breathing)
- খেতে , জল খেতে কষ্ট হওয়া ( Trouble eating, drinking)
- শ্বাসকষ্ট( Wheezing)
- দ্রুত শ্বাস নেওয়া (Breathing faster than usual)
- ঠোঁট ও আঙুলের ডগা নীল হয়ে যাওয়া (Turning blue around the lips and fingertips)
কারণ উপসর্গ দেখে বোঝার উপায় নেই, কী ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কারণ এই উপসর্গগুলি অন্যান্য জ্বরের মতোই। আর তাতেই বাড়ছে জটিলতা-বিভ্রান্তি! করোনা?
স্ক্রাব টাইফাস? ইনফ্লুয়েঞ্জা? না কি ডেঙ্গি? এটা বুঝতেই সময় নষ্ট করে ফেলছেন অভিভাবকরা। দেরি করে চিকিত্সা শুরু করাতে বিপত্তি বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, এই RS ভাইরাস প্রচণ্ড সংক্রামক। জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসনালীতে প্রদাহ, ফুসফুসে সংক্রমণ, থেকে ধীরে ধীরে শিশুদের শরীরে জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। অন্যান্য অঙ্গকেও প্রভাবিত করে। চিকিৎসক দেবকিশোর গুপ্ত জানালেন, বাচ্চাদের মাস্ক পরিয়ে রাখতে হবে। বাচ্চাদের কাছে এলে লোকজনকেও পরতে হবে। খুব সংক্রামক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু এরাজ্যেই নয়, বিশ্বজুড়ে করোনার গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে RS ভাইরাস। সম্প্রতি জাপানের একটি জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।
CDC - সেন্টারস ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন শীর্ষক লেখায়, বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতেই, টোকিও-এ বেড়েছে RS ভাইরাসের প্রকোপ। একই দাবি করেছে ইউরোপের একটি জার্নালও। চিকিৎসক অনিরুদ্ধ ঘোষ জানালেন, 'আসলে সাধারণ লোকেদর মাথায় ঘুরছে, থার্ড ওয়েভ আসতে পারে। এই ভয়ে তাড়াতাড়ি ডাক্তারদের কাছে আসছে। সেটা একদিন থেকে ভাল।' চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এই ভাইরাসে বাচ্চদের থেকে বয়স্কদেরও হতে পারে।
আবার বয়স্কদের থেকেও বাচ্চাদের সংক্রমণ হতে পারে। তাই বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে তাদের বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা বলছেন, এই মুহূর্তে থাকবে RS ভাইরাসের প্রকোপ। তাই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। জ্বর হলে, দেরি না করেই চিকিত্সকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।