Sleep At Late Night Problem Isn’t a Problem : ইনসোমনিয়া ঘুমের অসুখ গুলোর মধ্যে অত্যন্ত প্রকট একটি সমস্যা। এই অসুখ যেমন অনেকটাই জিনগত, তেমনই জিনের মাধ্যমে অনেকটাই নির্ধারিত হয়, আমাদের শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লকটা কেমন হবে। ওই যে একেকজন বলেন না, রাত করে ঘুমনো ওদের বাড়ির ধারা ! হ্যাঁ, কারও কারও ক্ষেত্রে বায়োলজিক্যাল ক্লকটা ওই আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ -ছড়ার সঙ্গে এক্কেবারে তাল মিলিয়ে। এঁদের বলে লার্ক (Lark) ভ্যারাইটি। অর্থাৎ মোরগ যেমন সকাল সকাল উঠে পড়ে , তেমন। আর একদন মানুষ আছেন, যাঁদের ঘুম আসে বেশি রাতে, এঁরা বেলা অবধি ঘুমোতেই স্বচ্ছন্দ। এঁদের বলে আউল (Owl) ভ্যারাইটি। অর্থাৎ প্যাঁচার মতো খানিকটা ঘুমের ধাঁচ। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে গেলে এই ' Early to bed, early to rise ' - এটাকে বেদবাক্যের মতো মানতেই হবে কি ? এই নিয়ে আলোচনা করলেন ইএনটি সার্জেন ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্লিপ অ্যাপনিয়া সার্জেন চিকিৎসক দীপঙ্কর দত্ত। 
কার ঘুমের ধাঁচ কেমন হবে তা ঠিক করে দেয় আমাদের শরীরেই ওই বায়োলজিক্যাল ক্লক। মস্তিষ্কের বিশেষ এক অংশে একটা ওই ঘড়িটা থাকে, যা বুঝিয়ে দেয় কখন দিন আর কখন রাত। অন্ধকার কূপকূপে গুহাতে গেলেও আপনার শরীর কিন্তু বুঝে নেবে রাত না দিন। সমুদ্রের তলাতে গেলেও কিন্তু বায়োলজিক্যাল ক্লকই শরীরকে বোঝায় কখন দিন কখন রাত। যাঁর ঘুমের প্যাটার্ন যেমন, তার কিন্তু সেই সময়ই ঘুম পাবে। এবার এই যে প্যাটার্ন, কে আউল আর কে লার্ক, সেটা কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই জিন নির্ধারণ করে। 
চিকিৎসক দীপঙ্কর দত্ত জানালেন, আমাদের সমাজ কিছুটা হলেও এই ' Early to bed, early to rise ' শ্রেণির দিকে একটু একপেশে। স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত, সবই শুরু হয় সকাল সকাল। এক্ষেত্রে যাঁর শরীর, বেশি রাত করে শোওয়া ও একটু দেরি করে ওঠায় আরাম পায়, তাঁকেও দৌড়তে হয় সক্কাল সক্কালই। তাঁর কিন্তু রাতে তাড়াতাড়ি কিছুতেই ঘুম আসে না। অতএব তাঁদের ঘুমটা অসম্পূর্ণই থেকে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, যাঁরা দেরি করে ওঠেন, তাঁরা কিন্তু কুঁড়ে নন। তাঁদের শরীরের ঘড়িই সেইভাবে সেট । তাঁরা তাড়াতাড়ি বিছানায় গেলেও ঘুম কিন্তু আসবে না ওই সময়ে। তাই যদি কর্মক্ষেত্রে একটু বেলার শিফট তাঁরা  করতে পারেন, তাহলে তা তাঁদের শরীরের পক্ষে ভাল।
মনে রাখতে হবে, ৮ টায় শুয়ে পড়তে পারলেই ভাল ঘুম হবে, বা 'সুস্বাস্থ্য' পেতে গেলে ভোরে উঠতে হবে, এমন কোনও নিয়ম কিন্তু নেই। আপনার জিনই ঠিক করে দেবে কখনও ঘুমোতে যাওয়া আপনার জন্য সবথেকে আরামের। শুধু নজর দিন কতক্ষণ ঘুমোচ্ছেন, আর ঘুমের কোয়ালিটি ভাল হচ্ছে কি না।