মেরিল্যান্ড: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে এবং সবসময় শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে জলের জোগান রাখলে ভবিষ্যতে এড়ানো যায় হৃদরোগের সমস্যা (Heart disease)। এমনই দাবি করলেন একদল গবেষক।


কোথায় প্রকাশিত:
ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল (Europian Heart Journal)-এ প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট। 


হার্ট ফেলিওর (Heart failure) এমন একটি অবস্থা যখন হৃদযন্ত্র শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে রক্ত পাম্প করতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ষাট বছরের ঊর্ধ্বের বয়স্কদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। গবেষক দলের প্রধান , NHLBI-এর গবেষক নাতালিয়া ডিমিত্রিভা (Natalia Dmitrieva) বলেছেন, 'খাবারের নুনের পরিমাণ কমতে হবে। নুনজাতীয় খাবার কমাতে হবে। তার সঙ্গেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। তাহলে হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত যে কোনও ঝুঁকি কমবে।'


কীভাবে হয়েছে গবেষণা?
প্রথমে প্রি-ক্লিনিক্যাল (Pre clinical) রিসার্চ করা হয়েছে। সেখানে ডিহাইড্রেশন (dehydration) এবং cardiac fibrosis বা হৃদপেশির শক্ত হয়ে যাওয়ার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে তা উঠে আসে। তারপরেই বড় জনসংখ্যার উপর পপুলেশন স্টাডি (Population Studies) করে গবেষক দল।  ৪৫ থেকে ৬৬ বয়সের ১৫ হাজার জনের উপর সমীক্ষা শুরু হয়। এরা সকলেই ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে অ্য়াথেরোস্ক্লেরোসিস রিস্ক ইন কমিউনিটিস (Atherosclerosis Risk in Communities) নামক একটি সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই তথ্যের পাশাপাশি এতদিন পর্যন্ত তাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যেও নজর রাখা হয়েছে। তার মধ্যে থেকে গবেষকরা বাছাই করেছেন যাদের হাইড্রেশন পর্যাপ্ত ছিল এবং ওই গবেষণার শুরুতে ডায়াবেটিস (Diabetes), হার্টের সমস্যা বা ওবেসিটির (Obesity) সমস্যা ছিল না। গবেষণার শেষে দেখা গিয়েছে সাড়ে এগারো শতাংশে ক্ষেত্রে পরে হার্টের সমস্যা দেখা গিয়েছে।


ঠিকমতো হাইড্রেট বা শরীরে পর্যাপ্ত জল রয়েছে কিনা বোঝার জন্য একাধিক পরীক্ষা চালিয়েছে গবেষক দল। যেমন নজর রাখা হয়েছে সিরাম সোডিয়ামের (Serum Sodium)-এর দিকে। শরীরে জলের পরিমাণ কমলেই সিরাম সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। লিটারে ১ মিলিইকুইভ্যালেন্ট (1 mEq/L) সোডিয়াম সিরাম বৃদ্ধি পেলে হার্ট ফেলিওয়ের আশঙ্কা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।  


শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চলার জন্য জলীয় পদার্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জল (water) বা ফলের রস ঠিকমতো খেলে হৃৎযন্ত্র এবং সংলগ্ন ধমনীর কাজ ঠিকমতো চলে। প্রথম থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে হৃৎপিণ্ড ও ধমনী সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।


আরও পড়ুন: কতদিন অন্তর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো প্রয়োজন?