কলকাতা: হাঁচি (Sneezing) থামছেই না? পাল্লা দিয়ে জ্বালাচ্ছে কাশি (Coughing)? দোসর বলতে গলা ব্যথা, জ্বরজ্বর ভাব? এমন সময় কী করতে বা খেতে হবে, তা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু কী করতে হবে না সেটা কি খেয়াল থাকে? বিশেষত এই সময়ে কী ধরনের খাবার খাওয়া (Food To Eat) উচিত নয়, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধের কথা প্রায়ই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।
কী খাবেন না?
তালিকায় প্রথমে থাকবে দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী। দই, চিজ, মাখনের মতো খাবার এই সময়ে খেলে মিউকাসের উৎপাদন বেড়ে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে, মত বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই। সমস্যা বাড়তে পারে ঝাল দিয়ে কোনও খাবার খেলেও। তাই হাঁচি-কাশি হয়ে থাকলে, যতই ইচ্ছা করুক না কেন, ঝাল জাতীয় মশলাদার খাবার না খাওয়াই শ্রেয়। এবার আসা যাক, পানীয়ের ক্ষেত্রে।
বহু সময়ই, সর্দির সময় ঘন ঘন ক্যাফিন জাতীয় পানীয় নিতে থাকেন অনেকে। কারও কারও ক্ষেত্রে, এটি সাময়িক কিছুটা স্বস্তিও দিতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতেই, হাঁচি-কাশির সময় ক্যাফিন জাতীয় পানীয় বেশি সেবন করলে 'কফ' শুকিয়ে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। তাই খুব বেশি এই ধরনের পানীয়ের উপর ভরসা না রাখাই ভাল। হাঁচি-কাশির সঙ্গে আরও একটি বিষয় সাধারণত দেখা যায়। তা হল, আক্রান্ত ব্যক্তির মুখের স্বাদ চলে যায়। তাই এই সময় ভাজাভুজি খাবারের দিকে বেশি করে মন টানে আক্রান্তের। কিন্তু স্নেহপদার্থে ভরা ভাজাভুজি খেলে প্রদাহ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়, বলে মনে করেন অনেকেই। কাজেই এই ধরনের খাবার, যত ইচ্ছাই হোক, খাওয়া যাবে না।
আর যা...
ফলের রস এমনিতেই উপকারী, তবে এখন যে ধরনের 'রেডিমেড' ফলের রস পাওয়া যায় তার মধ্যে অনেকের মধ্যেই 'সুগার' থাকে। সর্দি-কাশির সময় 'সুগার' দেওয়া ফলের রস হিতে বিপরীত ঘটাতে পারে। এতে শ্বেতকণিকার উৎপাদন ধাক্কা খেতে পারে, যাতে আখেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধাক্কা খায় বলে মনে করেন অনেকেই। সোজা কথায়, সর্দি-হাঁচি-কাশি হলে হালকা, সহজপাচ্য, পুষ্টিকর খাবারেই ভরসা রাখা ভাল।
কিন্তু একটি বিষয় কখনওই ভুললে চলবে না। তা হল, এই ধরনের পরামর্শ সার্বিক, গড় পরিস্থিতি বিচার করে লেখা হয়। ক্ষেত্র ও ব্যক্তিবিশেষে এর হেরফের হয়ে থাকে। অল্প কথায়, ডাক্তারের পরামর্শই এসব ক্ষেত্রে শেষ কথা।
আরও পড়ুন:দরজায় শরৎ, আসছেন 'মা', পুজোর আর বাকি ৫০ দিন