কলকাতা: অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ওজন বাড়লে শরীরের জন্য অন্তত আশঙ্কাজনক। খাওয়া কমানো থেকে বাছাই ডায়েট কিংবা কঠোর শরীরচর্চা--অনেকেই ওজন কমাতে অনেককিছুই করে থাকেন। তারপরেও নিয়ন্ত্রণে থাকে না ওজন। আতঙ্ক থাকে স্থূলতা (obesity) এসে যাওয়ারও।
ওজন কমানোর জন্য কিন্তু আরও বেশ কিছু উপায়ও রয়েছে। ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করে আগে থেকে অভ্যেস শুরু করলেই ফল মিলবে হাতেনাতে। দেখে নেওয়া যাক সেই টোটকাগুলি কী কী?
মধু-লেবু হাতেহাত
রান্নাঘরে সহজেই মেলে মধু (honey)। থাকে পাতি লেবুও। প্রথমে এক গ্লাস উষ্ণ জল (luke warm) লাগবে। সেখানে এক কোয়া পাতিলেবু দিয়ে দিতে হবে। তারপর তাতে মিশিয়ে দিতে হবে এক চা চামচ মধু। প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে উঠেই খালি পেটে এটি খেলে ওজন কমবেই। বাড়তি সুবিধে হল এই পানীয় হজমপ্রক্রিয়া ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ছাতু
ছোলার ডাল পিষে তৈরি হয় প্রোটিনযুক্ত (protein) এই খাদ্য। রয়েছে ভরপুর ফাইবারও (fiber)। অনেকেই প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে খেয়ে থাকেন এটি। ওজন কমাতে কম ক্যালোরির এই খাবারের জুড়ি নেই। ছাতুর সরবত বা অন্য কোনও রেসিপি, খাওয়া যায় যেকোনওভাবেই।
দই
দুপুরে বা সকালে, পাতে দই (curd) রাখলে তার কোনও বিকল্প নেই। খাবার হজমের জন্য দই সাহায্য করে। পাচনতন্ত্র ঠিক রাখতে এর জুড়ি নেই। ওজন কমাতেও সাহায্য করে দই। অনেকসময় শসা বা আরও মশলা যোগ করে রায়তা তৈরি করা হয়। উপকার মেলে তাতেও।
জোয়ান
মুখশুদ্ধি হিসেবে ব্যবহার হয় জোয়ান। রুচি ফেরাতেও কাজে লাগে। প্রতিদিন জোয়ান খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।
জিরের জল
সব রান্নাঘরেই থাকে জিরে (cumin)। নানা রান্নায় মশলা হিসেবেই কাজে লাগে এটি। ওজন কমাতেও কাজে লাগে এই মশলা। সারা রাত এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে জিরে। সকালে উঠে খেয়ে নিতে হবে জিরে ভেজানো জল। পেট ভাল রাখার সঙ্গে সঙ্গে কমবে ওজনও।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।