কলকাতা: প্রকৃতির নিয়মেই বয়স বাড়ে। শরীরে নানা অসুবিধেও হয়। কিন্তু যতদিনই বাঁচা হোক। সুস্থভাবে বাঁচতে চান সকলেই। প্রতিদিনের জীবনযাপনে বেশকিছু বদল করলেই সহজেই ফাঁকি দেওয়া যাবে বয়সকে। খাওয়া দাওয়া থেকে ত্বকের যত্ন, নজর দিতে হবে বেশ কিছুদিকে। তাহলেই সুস্থভাবে বাঁচা যাবে বহুদিন। 


ডায়েটে নজর
প্রতিদিন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর রাখেন সকলেই। প্রতিদিনে পাতে থাকতে হয় সব ধরনের পুষ্টিগুণ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাতে বেশ কিছু ধরনের খাবার রাখতেই হবে। হোল গ্রেইন (whole grain) থেকে বাদাম (nut) রাখতেই হবে। রাখতে হবে পর্যাপ্ত ফল এবং মরসুমি সব্জি। এই ধরনের খাবার বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। 


কম হোক মাংস
রেড মিট গোত্রের মাংসের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। যত বয়স বাড়বে তত কমিয়ে দিতে হবে রেড মিট গোত্রের মাংস খাওয়া। ওই ধরনের খাবারে কোলেস্টরেল এবং ফ্যাট থাকায় তা শরীরের পক্ষে খারাপ। একেবারেই চলবে না কোনও ধরনের প্রসেসড ফুড (processed food)। যতই ভাল মানের হোক কেন, প্রসেসড ফুডে রাসায়নিক থাকে। যা পাচনতন্ত্রে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। 


সূর্যের ছোঁয়া
শরীর ভাল রাখতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সূর্যের আলো ত্বকে পড়লে তৈরি হয় ভিটামিন ডি (vitamin d). হাড়ের ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন এই ভিটামিনের। প্রতিদিন ত্বকে কিছু অন্তত সূর্যের আলো লাগানো প্রয়োজন।    


খাওয়ার পরিমাণে লাগাম
মেপে খাওয়া শরীর ভাল রাখার অন্যতম শর্ত। সব ধরনের খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু পরিমাণ খুব বেশি হওয়া ভাল না। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, মেপে উপবাস করাও অত্যন্ত প্রয়োজন। উপবাস করলে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চলতে সাহায্য করে। তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে করা উচিত। অনিয়ন্ত্রিত উপবাস শরীর খারাপ করতে পারে।


নিয়মিত শরীরচর্চা
প্রতিদিন কোনও না কোনওভাবে শরীরচর্চা করতেই হবে। ব্যায়াম হোক বা সাঁতার। নিদেনপক্ষে হাঁটা। সবকিছুই শরীর ভাল রাখতে উপকারী। দীর্ঘদিন সক্ষম থাকতে, শরীরের গঠন ভাল রাখতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন দশ হাজার পা হাঁটতে পারলে ভাল। 


শান্ত থাকুক মন
কাজের চাপ, বাড়ির চাপ কিংবা আরও নানা কারণে দুশ্চিন্তায় ভোগেন অনেকেই। অতিরিক্ত চিন্তা বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ সবরকম ভাবে শরীরের ক্ষতি করে। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে মন শান্ত করা প্রয়োজন। তাহলে লাগামে থাকবে কোলেস্টরেল, ডায়াবেটিসের মতো রোগও।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ভরসা থাকুক ঘরোয়া টোটকায়